আজিজুর রহমান, গলসি, আপনজন: বড় বড় ও খানাখন্দ ভরে গেছে গলসি ২ নং ব্লকের বৃন্দাবনপুর গ্রামে ঢোকার একমাত্র রাস্তা। সারাইয়ের দাবীতে আবারও ব্লক প্রশাসনকে স্মারকলিপি দিলেন গ্রামবাসীরা। তারা জানিয়েছেন, গলসি ২ নং ব্লকের কুতরুকী সাতঘোষ আদিবাসী পাড়া থেকে বৃন্দাবনপুর পায়রা ডাঁঙা পযন্ত আড়াই তিন কিমি রাস্তা চলার অযোগ্য হয়ে গেছে। রাস্তায় বড় বড় গর্ত হয়ে যাওয়ায় সমস্যায় পরছেন গ্রামের ছাত্র ছাত্রী থেকে নিত্যযাত্রীরা। গ্রামবাসী স্বরুপ কুমার আশ ও উজ্জ্বল পাল বলেন, অসুস্থ রোগীদের গ্রাম থেকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে কোন যানবাহন আসতে চাইছে না। বড় বড় গর্ত হওয়ায় স্কুল পড়ুয়ারা পার্শ্ববর্তী গ্রামের সাইকেল নিয়ে যেতে ভয় করছে। ফলে দুর্ভোগ এখন নিত্য সঙ্গী তাদের গ্রামের হাজার অধিক মানুষের।তারা জানাই, বর্তমানে রাস্তারটিতে বড় বড় গর্ত হয়ে গেছে। এখন আকাশে জল হওয়ায় গর্তগুলি ভরে গেছে। ফলে নিত্যদিন ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে। ইতিমধ্যেই গ্রামের এক যুবক মোটরবাইক নিয়ে পরে গিয়ে পা ভেঁঙেছেন। এছাড়াও দৈনেক সমস্যায় পরেছেন গ্রামের দুতিনশো স্কুল পড়ুয়া। গ্রামবাসী, সৌভিক ঘোষ, রাজু বাগদি, যদুপতি চ্যাটার্জ্জীরা বলেন, তাদের গ্রাম ঢোকার একটাই পথ। বিকল্প কোন রাস্তা নেই। গ্রামের দুতিনশো ছেলে মেয়ে উচ্চগ্রাম, বনসুজাপুর ও গলসিতে পড়াশোনা করতে যায়। রাস্তাটি চলার অযোগ্য হওয়ায় বেশ সমস্যায় পরছে তাদের গ্রামের স্কুল পড়ুয়ারা। এছাড়াও গ্রামের টোটো থেকে মোটর চালিত যানবহন আসতে ভয় করছে। রাস্তা খারাপের জন্য নিত্যদিনের ভোগান্তি হচ্ছে গ্রামের মানুষদের। তারা জানাই, এর আগে গত ইংরাজীর ১০ ই মার্চ রাস্তাটি সারাইয়ের জন্য তারা বিডিওকে লিখিত আবেদন করেছিলেন। তাতে কোন সুরাহা না মেলায় আবারও আজ গ্রামবাসীরা গলসি ২ নং ব্লক বিডিও অফিসে এবং পঞ্চায়েত সমিতিতে স্মারকলিপি দেন। তাদের দাবী, দ্রুত তাদের রাস্তাটি সারাইয়ের ব্যবস্থা করুক ব্লক প্রশাসন। এবিষয়ে গলসি ২ নং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বাসুদেব চৌধুরী জানান, বৃন্দাবনপুর গ্রামের রাস্তাটি সত্যিই খুব খারাপ। গতবার আমরা গলসি ১ পঞ্চায়েত সমিতির তরফ থেকে রাস্তাটি সারাই করে দিয়েছিলাম। মোরাম থাকায় সেই রাস্তাটি আবার নষ্ট হয়ে গেছে। গ্রামবাসীরা এসেছিলেন দলগতভাবে। আমরা চেষ্টা করছি কিভাবে আবার একবার রাস্তাটি সারাই করে দেওয়া যায়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct