নিজস্ব প্রতিবেদক, কলকাতা, আপনজন: অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন পুলিশের সমস্ত ছুটি বাতিল করল লালবাজার। সোমবার পুলিশের অনুমতি ছাড়া রাজ্যের কোথাও কোনো মিছিল করা যাবে না ।কড়া নির্দেশ রাজিব কুমারের।ঐদিন গোটা শহরে একাধিক জায়গায় পুলিশ পিকেটিং, মোবাইল ভ্যান পেট্রোলিং এবং মোটরসাইকেলে অলিতে গলিতে নজরদারি জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অযোধ্যাতে রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন মহানগরীর রাজপথে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রীতি ও সংহতির বার্তা নিয়ে তিনি মিছিল করে যাবেন পার্ক সার্কাসে। সেখানে তিনি সভা করবেন। তাই মুখ্যমন্ত্রীর মিছিলের রুটে পুলিশের নজরদারি জোরদার করা হচ্ছে। পার্ক সার্কাস এলাকায় রবিবার রাত থেকেই রেফ ও পুলিশবাহিনী মোতায়েন থাকবে। কলকাতা পুলিশের সব কটি ডিভিশনের থানার ওসিদের সোমবার সকাল থেকে এলাকায় নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লালবাজারে কন্ট্রোল রুম থেকেও গোটা শহরে নজরদারি চালানো হবে। জানা গিয়েছে ইতিমধ্যে গোয়েন্দা দপ্তরকে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে গোটা শহরে কোন কোন এলাকা উত্তেজনাপ্রবণ তা চিহ্নিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোথাও রাম মন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠান রাস্তার ধারে জায়েন্ট স্কিনে যদি দেখানো হয় সেই স্পট চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে। শহরে বহিরাগতদের ওপর নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন অতিথিশালা , গেস্ট হাউস ও হোটেল গুলিতে কারা রয়েছেন এবং তারা কোথা থেকে এসেছেন এবং কতদিন থাকবেন সমস্ত তথ্য শহরের যেসব এলাকায় হোটেল , অতিথি শালা রয়েছে সেই সব এলাকায় সংশ্লিষ্ট থানা কে তথ্য সংগ্রহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সোমবার কোন কোন রাজনৈতিক দলের কি কি ধরনের কর্মসূচি আছে তার আগাম তথ্য সংগ্রহ করছে লালবাজার। সপ্তাহের প্রথম দিনে অযোধ্যার রাম মন্দির উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে শহরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে অবনতি না হয় তার জন্য পুলিশকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে। শুক্রবার হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে। এর পরই নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও নজরদারি জোরদার করতে আরো তৎপর হয়ে ওঠে কলকাতা পুলিশের হেডকোয়ার্টার লাল বাজার ও রাজ্য পুলিশ। শুক্রবার পুলিশের বড় কর্তাদের দফায় দফায় তথ্য সংগ্রহের বৈঠক হয়। এরপরই সোমবার সমস্ত পুলিশ কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়। ঐদিন শহরের পাশাপাশি জেলায় জেলায় পুলিশি নজরদারি বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশ পাঠানো হয়। সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিভিন্ন নেট সংস্থাগুলি সঙ্গেও আগাম আলোচনা সেরে দেখতে চলেছে প্রশাসন । যাতে প্রয়োজন বোধে এলাকাভিত্তিক নেটের গতি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে যাতে কোন উত্তেজনা তৈরি না হয় তার জন্যই আগাম সতর্ক থাকছে পুলিশ। রাজ্যের সব কটি কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনারদের নজরদারি জোরদার করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct