বাবরি মসজিদ-রামমন্দির বিবাদ এখন স্তিমিত।সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বিষয়টির ফয়সালা করা হলেও তা নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। যদিও ভূমিপুজোর মাধ্যমে রামন্দিরের যাত্রা শুরু হয়ে গেছে। অযোধ্যায় অতীত হয়ে উঠছে বাবরি মসজিদের ইতিহাস। কিন্তু মানুষের মধ্যে এখনও বাবরি মসজিদ-রামমন্দির নিয়ে বিবাদের পরিপ্রেক্ষিতে প্রকৃত সত্য উদঘাটনের আগ্রহ অব্যাহত রয়েছে। তাই রামের ইতিহাস থেকে শুরু করে রামমন্দির, বাবর থেকে শুরু করে বাবরি মসজিদ- সমগ্র বিষয়টি নিয়ে এই অনুসন্ধিৎসু প্রতিবেদনটি লিখেছেন দিলীপ মজুমদার। অষ্টম কিস্তি।
অযোধ্যায় রামমন্দিরের ভূমিপুজো হয়ে গেল। গত ৫ অগস্ট (২০২০)। করোনার আবহেও থেমে থাকল না ভূমিপুজো। বঙ্গের এক নেতা তো বলে দিয়েছেন এখন হাসপাতালের চেয়ে মন্দিরের দরকার বেশি। ভক্তিমান এইসব মানুষ পরোয়া করেন না সংক্রামক করোনাকে। ভূমিপুজোর অনুষ্ঠানে এসেছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। ভারতরাষ্ট্রের ধর্মনিরপেক্ষতার আবরণ খসে গেছে, তাই এক বিশেষ ধর্মের অনুষ্ঠানে প্রধানমনত্রী তো আসবেনই। বিশেষ তিনি যখন সেই ধর্মের ধারক ও বাহক। একটা বৃত্ত সম্পূর্ণ হল। যার সূত্রপাত হয়েছিল ১৯৪৯ সালের ২২ ডিসেম্বরের শেষ রাতে। ভারতের বন্দিত এক স্বতঃস্ফূর্ত মহাকাব্যের নায়কের হিন্দু নায়কে পরিণত হওয়ার বৃত্ত। বাল্মীকির ‘রামায়ণে’ যিনি ছিলেন আদর্শ মানুষ, তুলসীদাসের ‘রামচরিতমানসে’ যিনি ছিলেন আদর্শ গুরু, তিনি একালের ভারতীয় জনতা দলের হাতে হলেন আদর্শ হিন্দু নায়ক। এতদিন পরবাসী ছিলেন রামচন্দ্র। এবার স্বভূমিতে প্রতিষ্ঠিত হবেন। ইতিহাস নয়, প্রত্নতত্ত্ব নয়, বিজ্ঞান নয়, জয়ী হল বিশ্বাস। শ্রীচৈতন্য বলেছিলেন না, বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর! বিশ্বাসের প্রশ্ন যেখানে, সেখানে তো তর্ক চলে না। এই বিশ্বাসে শিলমোহর দিলেন ভারতের সর্বোচ্চ আদালত। প্রায় বিরোধীহীন দেশে শাসকদল অর্থাৎ ভারতীয় জনতা দল তাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে রাজনীতির জমিটাকে আরও শক্তপোক্ত করলেন। জনসংঘের খোলস ছেড়ে এই দলের উথ্থান ও অমিত শক্তিলাভের বৃত্তও সম্পূর্ণ হল।
এই বৃত্তকে সম্পূর্ণ করার কাজে নীরবে অনুঘটকের (catalyst) কাজ করে গেছে একটি টিভি সিরিয়াল। রামানন্দ সাগরের ‘রামায়ণ’। শিল্পকলা ও সাহিত্যের যে শক্তি আছে প্রমাণিত হল সে কথা। আপাতভাবে প্রত্যক্ষ করা যায় না সে শক্তি। কিন্তু সে যে ‘কাজ করে যায় গোপনে গোপনে’। মানুষের মনের ভেতরের জমিটাকে শক্ত করে, নতুন প্রত্যয় দেয়, উদ্বুদ্ধ করে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের স্বাধীনতা আন্দোলন ও বিপ্লবের ইতিহাস সে কথা বলে। বঙ্কিমচন্দ্রের ‘আনন্দমঠ’, ‘বন্দেমাতরম’; রবীন্দ্রনাথের স্বদেশি সংগীতের প্রভাবের কথা জানি আমরা। বাল্মীকির নয়, তুলসীদাসের নয়, কম্ব বা কৃত্তিবাসের নয়, রামানন্দ সাগরের ‘রামায়ণ’ সিরি্য়াল ঘটিয়ে দিয়েছে এক নিঃশব্দ বিপ্লব। এ দেশের রাজনৈতিক পালাবদলের ক্ষেত্রে অনুঘটকের কাজ করেছে। দেশের যুক্তিবাদী মানুষ আর বামপন্থীদের দারুণ বোকা বানিয়ে দিয়েছে ‘বোকা বাক্সের’ এই উপাদান। বাস্তবিক, এ দেশের ধর্মের ইতিহাসের মতো, রাজনীতির ইতিহাসেও মাইলস্টোন হয়ে থাকবে রামানন্দ সাগরের সিরিয়ালটি।
রামভক্ত রামানন্দ সাগরের (১৯১৭-২০০৫) অনেক নাম : রামানন্দ বেদী, রামানন্দ চোপরা, রামানন্দ কাশ্মীরী। তবে তিনি রামানন্দ সাগর হিসেবেই জনসমাজে আদৃত। ১৯৩২ সালে তিনি আসেন চলচ্চিত্র জগতে। প্রথমে কাজ করতেন পৃথ্বীরাজ কাপুরের অধীনে। ১৯৫০ সালে গড়ে তোলেন সাগর ফিল্মস প্রাঃ লিঃ। চলচ্চিত্রে কিছু সাফল্যও লাভ করেছিলেন তিনি। এরকম এক মানুষ সিনেমা থেকে টিভিতে এলেন কেন ? তাঁর পুত্র প্রেম সাগর তাঁর টিভিতে আসার দুটি কারণ দেখিয়েছেন। প্রথমত, সিনেমাশিল্পকে ক্রমশ করায়ত্ত করে নিচ্ছিল দুবাইএর মাফিয়ারা। তাই বীতশ্রদ্ধ হয়ে উঠেছিলেন রামানন্দ। দ্বিতীয়ত সুইজারল্যাণ্ডের একটি ঘটনা। ১৯৭৬ সালে সে দেশে ‘চরসে’র সুটিং করতে যান রামানন্দ। একদিন সুটিংএর অবসরে একটি কাফেতে বসে রেড ওয়াইনে চুমুক দিতে দিতে তিনি সেখানকার রঙিন টিভির দৃশ্য দেখে অভিভূত হন। সে দিনই তিনি সিনেমা ছেড়ে টিভিতে যোগ দেবার সিদ্ধান্ত করেন। তাঁর এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেন নি তাঁর আত্মীয়-বান্ধবরা। এই পাগলামি যে রামানন্দের কেরিয়ারের পক্ষে ক্ষতিকর, সে কথা বলেন তাঁরা। কিন্তু রামানন্দ তাঁর সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন। অভিরাম দাস, কে কে নায়ার, গুরুদত্ত সিংএর মতো রামানন্দও ছিলেন রামচন্দ্রের অনুরাগী। দিব্যদৃষ্টিতে তিনি যেন দেখতে পান যে তিনি ‘মর্যাদা পুরুষোত্তম’ রামকে জনমানসে তুলে ধরতে পারবেন টিভির মাধ্যমে। টিভিতে তাঁর প্রথম সিরিয়াল ‘বিক্রম ও বেতাল’। ২৫ পর্বের এই সিরিয়াল সাফল্যের মুখ দেখেছে। এই সিরিয়ালের সমস্ত চরিত্রকে তিনি ‘রামায়ণ’ সিরিয়ালে নিয়েছিলেন।
এই সিরিয়াল সম্প্রচারের ব্যাপারে দূরদর্শন কর্তৃপক্ষ প্রথম দিকে দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন। ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শ ক্ষুণ্ণ হবে কি না সেই প্রশ্ন। কিন্তু শাহাবানু মামালায় বিপর্যস্ত প্রধানমন্ত্রী তখন মুসলমানদের খুশি করতে না পেরে হিন্দুদের খুশি করার চেষ্টায় রত। তাই বাবরি মসজিদের প্রধান ফটকের তালা হুলে দেওয়া হয়েছে। রামায়ণ, মহাভারতের মতো ‘হিন্দু’ মহাকাব্যের সম্প্রচার দূরদর্শনে হলে হিন্দু ভোটব্যাঙ্ক কংগ্রেসের দিকে যেতে পারে। তখন নতুন সম্প্রচার মন্ত্রী হয়েছেন অজিতকুমার পাঁজা। দিল্লির মাণ্ডি হাউস থেকে তাই ফোন গেল রামানন্দ সাগরের কাছে।
রামানন্দ অধ্যাত্ম রামায়ণ ও মূলত তুলসীদাসী রামায়ণের উপর ভিত্তি করে তাঁর সিরিয়ালের কাহিনি তৈরি করেছিলেন। একথা ঠিক যে তুলসীদাস রামকে বিষ্ণুর অবতার বলে মনে করতেন। কিন্তু ‘রামুকা গোলাম’ তুলসীদাসের ভক্তি ছিল অহৈতুকী। বৈষ্ণবীয় রসশাস্ত্র ও অধ্যাত্ম রামায়ণের প্রভাবে তুলসীদাস রামচন্দ্রের বাল্যলীলার বর্ণনা করেছেন, রামলালার মূর্তি অঙ্কন করেছেন। রামের উপর হিন্দুত্ব আরোপ করেন নি তিনি। নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী ‘রাম রতন ধন পায়ো’ নামক একটি প্রবন্ধে তুলসীদাসের অসাম্প্রদায়িক মানসিকতা তুলে ধরেছেন। মহামতি আকবরের মন্ত্রী-সেনাপতি আবদুর রহিম খান-ই-খানখানা ছিলেন তুলসীদাসের বন্ধু। সেই বন্ধুর প্ররোচনায় অওয়ধি ভাষায় ‘রামচরিতমানস’ ছাড়াও বরবৈ ছন্দে লিখেছিলেন আরও একটি ক্ষুদ্র রামায়ণ। তিনি জাত মানতেন না, বাল্মীকি অনুসারী নন বলে কাশীর পণ্ডিতরা তাঁর উপর অত্যাচার করেছেন। হাজারিপ্রসাদ দ্বিবেদী লিখেছেন, ‘কাশীকে পণ্ডিতোঁ নে উনহে বড়া তঙ্গ কিয়া থা, গালি-গলৌজ, ডাঁট-ফাটকার।’ অভিমানবিদ্ধ এই মহাকবি লিখেছেন, ‘দুর্জনেরা যা ইচ্ছা বলুক আমাকে, আমি ভিক্ষা মেগে খাই, শুয়ে থাকি মসজিদে, কারও সঙ্গে আমার কোন লেনদেন নেই, আমি কারও কাছ থেকে এক পয়সা নিইও না, কাউকে দু পয়সা দিইও না—মাঁগি কৈ খৈবো, মসীতকো সৌইবো,/ লৌবোকো একু ন দৈবে কো দোউ।’
বাস্তববুদ্ধিসম্পন্ন রামানন্দ তুলসীদাসী রামায়ণকেও নিজের রঙে রঞ্জিত করেছেন। রামকে বিষ্ণুর অবতার করে, অলৌকিক আবহ সৃষ্টি করে, দেশবাসীর অবচেতন সংস্কারকে উদ্দীপিত করে তুলেছেন তিনি রামের প্রতি, রামায়ণের প্রতি দেশের মানুষের যে স্পর্শকাতরতা ছিল তাকেই মূলধন করেছেন তিনি। তার সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছেন হিন্দি সিনেমার আনুষঙ্গিক বৈশিষ্ট্য ; ঝলমলে নজরকাড়া (উত্তর ভারতীয়) পোশাক, নানা রঙের দ্যুতি, ক্যামেরার কৌশল, আবেগবিহ্বল সঙ্গীত, অলৌকিকের মায়া। এমন কি রামজন্মভূমি উদ্ধারের কথাও। তাই একটি দৃশ্যে দেখতে পাই জন্মভূমির মাটি হাতে নিয়েছেন রামচন্দ্র।
সম্ভবত রামানন্দ নিজেও ভাবতে পারেন নি যে তাঁর টিভি সিরিয়াল সারা দেশে-কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর, গুজরাট থেকে গোরক্ষপুর- সৃষ্টি করবে এক অভূতপূর্ব উন্মাদনা। ‘ইন্ডিয়া টু ডে’র ভাষায় ‘রামায়ণ জ্বর’। রামানন্দ ভাবতে পারেন নি প্রতি রবিবার সকাল সাড়ে নটায় সারা দেশে অঘোষিত লকডাউন হয়ে যাবে, টিভির সামনে ধুপ-ধুনো জ্বেলে বসবে ভক্তিপ্রণত মানুষ, ট্রেন বন্ধ করে যাত্রীসহ চালক স্থানীয় কোন লোকালয়ে দেখবেন এই ‘সোপ অপেরা অফ গডস’, সিরিয়াল শেয না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বিয়ে বা মন্ত্রীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। জনপ্রিয়তার রেকর্ড সৃষ্টি করে গেছে এই সিরিয়াল। ৫২টির পরিবর্তে ৭৮টি এপিসোড করতে হয়েছে ৫৫০ দিন সুটিং করে, সম্প্রচার দেখানো হয়েছে ৫৫টি দেশে, ৬কোটির বেশি দর্শক দেখেছেন সিরিয়াল, প্রতি এপিসোডে ৯ লক্ষ টাকা ব্যয় হলেও আয় হয়েছে ৪০ লক্ষ টাকা, নিজের ইচ্ছে না থাকলেও প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের নির্দেশে রামানন্দকে লব-কুশের নতুন এপিসোড তৈরি করতে হয়েছে।
জনপ্রিয়তা শ্রেষ্ঠ শিল্পের নিদর্শন নয়। বরং দেখা যায় বহু মহৎ শিল্প সমকালে মর্যাদা পায় নি যথাযথ। রামানন্দ কোন মহৎ শিল্পের প্রেরণায় এই সিরিয়াল করেন নি। তিনি একে জনপ্রিয় করতে চেয়েছিলেন। এমনভাবে জনপ্রিয় করতে চেয়েছিলেন যাতে এ্কই মাল্যবাঁধনে লক্ষ্মী-সরস্বতী বাঁধা পড়েন। দৃষ্টিনন্দন এই সিরিয়াল রামানন্দকে দিয়েছিল বিপুল খ্যাতি, বিপুলতর অর্থ। তাঁকে নিয়ে রথ ঘুরেছিল অযোধ্যায়। ব্রিটেনের মিল্টন কেইনসে হিন্দুদের সংগঠিত করার সম্মেলনে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন তিনি। অযোধ্যায় রামমন্দির স্থাপনের ব্যাপারেও আগ্রহ ছিল তাঁর।
এই সিরিয়াল কিভাবে রামজন্মভূমি আন্দোলনের অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে, সেকথা বলেছেন অরবিন্দ রাজাগোপাল, ‘The broadcast of the Ramayana was the first major rupture of the Secular concensus, it catered to the devout and ritualistic. The popular response was devotional, but the activity of political parties was necessary to translate that into something political. ‘ অর্থাৎ এই সিরিয়াল যে ভক্তিরস উদ্রিক্ত করল, তাকে রাজনীতিতে রূপ দেওয়ার ভার নিলেন রাজনৈতিক দল। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক অনিন্দিতা বসু রাজনৈতিক নায়ক হিসেবে রামের রূপান্তরের কথা বলেছেন এভাবে, ‘An ideal Hindu nation needs an ideal Hindu man to lead the way, so who is going to be ? Who, else but the ideal Hindu man himself—Rama ! Valmiki’s Ram travels from being the ideal man to the ideal guru in Tulsidas, who is finally translated into the ideal Hindu man in Sagar’s televised versions .’ ( Ramananda Sagar’s Ramayana ; a Tool for Propaganda ). ভারতের রাজনীতিকে হিন্দুত্বের রাজনীতিতে পরিবর্তিত করার ব্যাপারে এই সিরিয়ালের অবদানের কথা উল্লেখ করেছেন মানিক শর্মা, ‘ Sagar’s Ramayana played in the backdrop of Hindutva shift in Indian politics, under the aegis of the Rastriya Swamsevak Sangha (RSS) and its political outfit, the Bharatiya Janata Party (BJP), while the media and cultural commentators struggled to consider Sagar’s epic one way or the other, there were some who saw it as a catalyst, even if unintended, to the turmoil that the movement resulted in.’ ( Hindustan Times, 2018). সিরিয়ালটি মহাকাব্যের অমর্যাদা করেছে বলে মনে করেছিলেন জি পি দেশপাণ্ডে। শরদ দত্তের মতে এটি রামায়ণ নয়, রামলীলা।
নিরক্ষর-সাক্ষরনির্বিশেষে চেতন বা অচেতনভাবে আধিদৈবিক বিশ্বাসে লালিত দেশবাসী ১৯৮৭ সালের ২৫ জানুয়ারি থেকে ১৯৮৮ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত দেখলেন রামানন্দ সাগরের সিরিয়াল। তাঁরা দেখলেন নব্য প্রযুক্তির হাত ধরে ধূলিধূসরিত মর্ত্যভূমিতে আবির্ভাব হয়েছে দেবতার। তাঁরা দেখলেন অরুণ গোভিলের রূপে রামচন্দ্র, দীপিকা চাখলিয়ার রূপে সীতা, সুনীল লহরীর রূপে লক্ষ্মণ, দারা সিংএর রূপে রামভক্ত হনুমান তাঁদের সামনে দৃশ্যমান হচ্ছেন প্রতি রবিবার সকালে। অরুণ গোভিল জানিয়েছেন যেখানে তিনি যেতেন বয়সনির্বেশেষে মানুষ তাঁর পা ছুঁয়ে প্রণাম করতেন, আনন্দে কাঁদতেন, বারাণসীতে তাঁকে দেখার জন্য ১০ লক্ষ মানুষ সমবেত হয়েছিলেন, তিনি অন্য কোন চরিত্রে আর অভিনয় করতে পারেন নি। আধিদৈবিক বিশ্বাসের এমনি শক্তি।
(মতামত লেখকের নিজস্ব)
(লেখক সিনিয়র ফেলোশিপপ্রাপ্ত গবেষক)
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct