আপনজন ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ভিত্তিতে বাবরি মসজিদের পরিবর্তন ৫ একর জমি অযোধ্যায় দেওয়া হয় সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে। অযোধ্যার ধাননিপুর গ্রামে ওই জমির উপর মসজিদ নির্মাণ সহ পাঁচ একর জমি ব্যবহারের যাবতীয় দায়িত্ব দেওয়া হয় সুন্নি বোর্ডের উপর। সুন্নি বোর্ড সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী মসজিদ সহ যাবতীয় কাজের ভার অর্পণ করে ইন্দো ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশনের উপর।
ইন্দো ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন আগেই জানিয়েছিল শুধু মসজিদ নয়, হাসপাতাল, কমিউনিটি সেন্টার ও ইন্দো ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারও গড়ে তোলা হবে। পুরো স্থাপত্যের দায়িত্বে রয়েছেন দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এস এম আখতার। আখতার জামিয়ার আর্কিটেকচার বিভাগের চেয়ারম্যান। সেই সব কর্মকাণ্ডের নকশা ইন্দো ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন লখনউয়ের অফিস থেকে প্রকাশ করল। ওই নকশা অনুযায়ী মসজিদ সম্পন্ন হলে একসঙ্গে দু হাজার মানুষ নামাজ পড়তে পারবেন। তবে মসজিদের নামকরণ এখনও করা হয়নি বলে জানানো হয়েছে।
এরপর ফাউন্ডেশনের তরফে বলা হয়েছে, এই স্থানটিতে একটি ভাল যাদুঘর করাও হবে। তবে হাসপাতালটি অত্যাধুনিক সুবিধাদি সহ জনগণের জন্য খুলে দেওয়া হবে। শিশু এবং প্রত্যাশিত মায়েদের অপুষ্টির দিকে মনোনিবেশ করা হবে।
দৃষ্টিননন্দন কম্পিউটার জেনারেটেডে ডিজাইনটি যথেষ্ট প্রশংসার দাবি রাখে। ট্রাস্ট বিশ্বজুড়ে বেশ কয়েকটি সমসাময়িক মসজিদের সঙ্গে তুলনা করে নকশাটি দেখানো হয়। পরিকল্পিত মসজিদটির একটি কম্পিউটার উৎপাদিত চিত্ত্রে একটি মনোরম বাগান জুড়ে রযেছে একটি বিশাল কাচের গম্বুজ। মসজিদটির পেছনে হাসপাতাল ভবনটিও দেখা যাচ্ছে।
আধুনিক প্রযুক্তিতে ১৫০০০ বর্গ ফুট জুড়ে থাকবে মসজিদটি। এটি ডিম্বাকৃতি এবং ছাদে যে গম্বুজ হবে তা ট্রান্সপারেন্ট হবে। মসজিদে সোলার প্যানেলও বসানো হবে। হাসপাতালটির নকশাটিও ভিন্ন মাত্রার।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct