এহসানুল হক, বসিরহাট, আপনজন: এখন ‘বাঁদর’ মসনদে বসেছে, তার মসনদ থেকেই নামাতে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং যে লাঠি হাতিয়ার ব্যবহার করতে হবে, সেই হাতিয়ার বা লাঠি হল আমাদের আন্দোলন। আন্দোলন গড়ে তুললেই বাঁদরের বাঁদরামি শেষ হবে। ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ে যে কালা কানুন বিল তৈরি হয়েছে তার বিরোধিতা করতে গিয়ে বসিরহাট দুই নম্বর ব্লকের ঘোড়ারস বাজারে সন্ধ্যা ছয়টা নাগাদ ঘোড়ারস সালাফিয়া মাদ্রাসা উদ্যোগে একটি প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই প্রতিবাদ সভায় দাঁড়িয়ে কড়া ভাষায় এভাবেই আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে, সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের সম্পাদক মাওলানা কামরুজ্জামান। তিনি আরোও বলেন,ওয়াকফ সম্পত্তি হচ্ছে মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থানের সম্পত্তি। দরিদ্র মুসলমানদের কল্যাণে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের দানকৃত সম্পত্তি। এই সম্পত্তি মোদি সরকারের দখলের অপচেষ্টা শরীরে এক ফোটা রক্ত থাকতে মেনে নেব না। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এক দেশ এক আইন হবে। তাহলে ওয়াকফ সম্পত্তির পরিচালন কমিটিতে দুজন হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি থাকলে দেবত্ব সম্পত্তি তথা মন্দির কমিটিতে দুজন মুসলিম প্রতিনিধি রাখার কথা বলা হচ্ছে না কেন?? আসলে মোদি সরকার এক দেশের ধর্মের ভিত্তিতে আলাদা আলাদা আইন ও অনুশাসন চাইছেন। একই সঙ্গে রামগিরি মহারাজ ও নরসিংহনন্দ মহারাজের মহানবী সা.সম্পর্কে অবমাননা করার মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানান। এই দুই মহারাজের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানান। এদিন বন্দী মুক্তি কমিটির সম্পাদক ছোটন দাস বলেন, এই যে বিল এটি হচ্ছে ইসলামকে শেষ করে দেওয়ার চক্রান্ত, আপনাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, বিজেপির চক্রান্তকে ধুলিসাৎ করতে হবে। এদিন ঘোড়ারস সালাফিয়া মাদ্রাসায় প্রধান শিক্ষক আব্দুল হামিদ ফাইজি বলেন ,এই ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ে যে কালাকানুন বিল নিয়ে এসেছে এই সরকার আমরা তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন। সকল মানুষকে এই প্রতিবাদে সামিল হতে আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, আপনারা যদি এই প্রতিবাদে না নামেন তাহলে আরোও ভয়াবহ দিন আমাদের জন্য অপেক্ষা । এদিনের প্রতিবাদ সভায় এছাড়া উপস্থিত ছিলেন মাওলানা আব্দুল হামিদ ফাইজি,ভানু সরকার, তৌহিদ আলম মাদানী, জিয়াউর রহমান সালাফি, হাসানুজ্জামান মাদানী, মাসুম রানা সালাফি,মামুন শেখ সালাফি, আশরাফুল হক মিফতাহী প্রমুখ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct