আজিজুর রহমান , গলসি, আপনজন: গলসির গলিগ্রাম ও মথুরাপুর—এই দুই জায়গায় ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে ওভারব্রিজ নির্মাণের কাজ প্রায় দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ ছিল। এরফলে স্থানীয় মানুষে দুর্ভোগ পরেছিলেন হাজার হাজার মানুষ। যাতায়াতের সমস্যার পাশাপাশি, সড়ক পারাপারের ঝুঁকি বেড়ে গিয়েছিল কয়েকগুণ। বিশেষ করে, গলিগ্রাম এলাকায় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার ঘটছিল।
স্থানীয় মানুষজন দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিলেন, দ্রুত কাজ শেষ করে ওভারব্রিজ দুটি চালু করা হোক। কিন্তু কাজ বন্ধ থাকায় তাঁদের মধ্যে ক্ষোভও দানা বাঁধছিল। সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে দীর্ঘ সময় ধরে যানবাহন থামার জন্য অপেক্ষা করতে হতো তাঁদের। অনেক সময় শিশুরা এবং প্রবীণ নাগরিকরা রাস্তা পার হতে গিয়ে বিপদে পড়তেন।
কয়েকদিন আগেই জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ বন্ধ থাকার বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে উঠে আসে। খবর প্রকাশের পরেই নড়েচড়ে বসে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। দ্রুত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে বাকি থাকা কাজ পুনরায় শুরু করা হয়। সংবাদ প্রকাশের একদিনের মধ্যেই ওভারব্রিজের উপরের লাইট বসানোর কাজ শুরু হয়। এরপরই এদিন থেকে গলিগ্রাম ও মথুরাপুরে দুটি ওভারব্রিজ থেকে নামার দু’মুখের বাকি থাকা কাজও শুরু হয়ে গেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এক মাস ধরে কাজ বন্ধ থাকায় তাঁরা মারাত্মক সমস্যায় পড়েছিলেন। সামনে মাধ্যমিক পরীক্ষা, ফলে পরীক্ষার্থীদের যাতায়াতের বিষয়টিও ভাবাচ্ছিল অভিভাবকদের।
তাঁরা আশাবাদী, কয়েকদিনের মধ্যেই কাজ সম্পন্ন হলে বহু মানুষ উপকৃত হবেন।
সড়কে কর্মরত এক কর্মী জানিয়েছেন, “গতকাল থেকেই কাজ পুরোদমে শুরু হয়েছে। আগামী দু’-তিন দিনের মধ্যেই গলিগ্রাম ও মথুরাপুরের ওভারব্রিজের কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে ধারনা তার। তারপর ওভারব্রিজ দুটি চালু হয়ে গেলে যান চলাচল অনেক বেশি স্বাভাবিক হবে এবং দুর্ঘটনার আশঙ্কাও কমবে।”
স্থানীয় বাসিন্দা অসীম চক্রবর্তী বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে গলিগ্রাম থেকে রাস্তা পার হতে হলে গুসকরা মোড় পর্যন্ত ঘুরে যেতে হচ্ছিল। এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও তৈরি হচ্ছিল। প্রায় প্রতিদিন ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটত। পুলিশ ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করলেও, যানজট লেগেই থাকত।” তিনি আরও বলেন, “ওভারব্রিজ চালু হয়ে গেলে এই সমস্যা অনেকটাই দূর হবে। মানুষ নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারবেন।”
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct