আপনজন ডেস্ক: প্যারিস অলিম্পিক শেষে টেনিস র্যাকেট তুলে রাখবেন অ্যান্ডি মারে। কিন্তু কোর্টে নামার আগেই তার শেষের শুরু হয়ে গেছে। চোটের কারণে পুরুষ একক থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ব্রিটিশ তারকা। তবে ডাবলসে খেলবেন একমাত্র টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে অলিম্পিকে দুটি স্বর্ণজয়ী তারকা।
তিনবারের গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী মারের মতোই অলিম্পিক শেষেই টেনিস কোর্টকে বিদায় জানানোর ঘোষণা দিয়েছেন রাফায়েল নাদালও। ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থে’ দুর্দান্ত কিছু করতে সেভাবে প্রস্তুতিও নিয়েছেন টেনিসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২ বারের গ্র্যান্ড স্ল্যামজয়ী। ক্যারিয়ারের শেষ অলিম্পিকে তাই স্বর্ণ জয়কে পাখির চোখ করেছেন তিনি। স্বর্ণ জিতে শেষটা রাঙাতে পারবেন কি না, সেটা টুর্নামেন্ট শেষেই বোঝা যাবে। কিন্তু তার আগে কঠিন এক পথ পাড়ি দিতে হবে কয়েক বছর ধরে চোটের কারণে একের পর এক টুর্নামেন্ট থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেওয়া নাদালকে। কারণ দ্বিতীয় রাউন্ডেই কঠিন প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হতে হচ্ছে ২০০৮ বেইজিং অলিম্পিকের স্বর্ণজয়ীকে। পুরুষ এককে সর্বোচ্চ গ্র্যান্ড স্ল্যামের রেকর্ড যার কাছে হারিয়েছেন সেই নোভাক জোকোভিচের মুখোমুখি হতে হবে তাকে। পুরুষ এককে রেকর্ড সর্বোচ্চ ২৪টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছেন জোকোভিচ।
তবে নামের পাশে অলিম্পিকের স্বর্ণ নেই তার। বেইজিং অলিম্পিকে নাদাল যখন স্বর্ণ জেতেন তখন ব্রোঞ্জ নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় সার্বিয়ান তারকাকে। ক্যারিয়ারের গোধূলিলগ্নে তাই নিজের নামের পাশে স্বর্ণপদক নিশ্চিতভাবেই দেখতে চাইবেন। জিততে পারলে সর্বশেষ উইম্বলডন ফাইনালে কার্লোস আলকারাজের কাছে শিরোপা হারানোর হতাশাও ভুলতে পারবেন। এখন দেখার বিষয় দ্বিতীয় রাউন্ডে দুই কিংবদন্তির মধ্যে কে কার বাধা টপকাতে পারেন। মুখোমুখি লড়াইয়ে এক জয়ের ব্যবধানে এগিয়ে জোকোভিচ। মোট ৫৯ লড়াইয়ের মধ্যে সার্বিয়ান তারকার ৩০ জয়ের বিপরীতে নাদাল উল্লাসে মেতেছেন ২৯ বার। এবার সমতা ফেরানোর সুযোগ পাচ্ছেন স্পেন কিংবদন্তি। মুখোমুখি হওয়ার আগে অবশ্য দুজনকে প্রথম রাউন্ডের নিজ নিজ ম্যাচে জিততে হবে তাদের। আজ অলিম্পিকের টেনিসের ড্রয়ে প্রথম রাউন্ডে নাদালের প্রতিপক্ষ হাঙ্গেরির মার্টন ফুসোভিচ। আর জোকোভিচের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়ার ম্যাথিউ এবডেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct