আপনজন ডেস্ক: যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পর দক্ষিণ গাজা থেকে উত্তরে ফিরছেন হাজার হাজার ফিলিস্তিনি। তাদের প্রত্যেকের চোখে মুখে একইসঙ্গে স্বজন হারানোর বেদনা ও নিজ ভূমিতে ফেরার আনন্দ।
হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নের পর গত ২৭ জানুয়ারি থেকে এসব দৃশ্য দেখা গেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল ভিডিওতে গাড়ি ও ট্রাকভর্তি মানুষ দেখা গেছে। তারা তাদের গদি, কম্বল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সঙ্গে ফিরে আসছেন নিজ আবাসভূমিতে। তেমনই এক ফিলিস্তিনি হানান জানাইন। তিনি দক্ষিণ গাজা থেকে তার সন্তানদের ফিরে আসার জন্য উদ্বিগ্নভাবে অপেক্ষা করছেন, তার দৃষ্টি ডানে-বামে। তিনি দ্য নিউ আরবের আরবিভাষার সহ-সংস্করণ আল-আরাবি আল-জাদীদকে বলেন, ‘আমি আমার সন্তানদের ফিরে আসার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে পারছি না। আমাদের প্রভু যেন তাদের নিরাপদে এবং সুস্থভাবে আমার কাছে ফিরিয়ে আনেন।’ উত্তর-পূর্ব গাজার বেইত হানুনে বসবাসকারী হানান আরও বলেন, সৃষ্টিকর্তার কৃপায় রাস্তা খুলে গেছে। এক বছরেরও বেশি সময় পর অবশেষে আমি আমার সন্তানদের দেখতে পাব। আল্লাহর ইচ্ছা হলে আমরা আমাদের ঘরবাড়ি পুনর্নির্মাণ করব। ততক্ষণ পর্যন্ত, আমরা একটি তাঁবু স্থাপন করে বসবাস করব। কারণ ইসরাইলি বোমা হামলায় আমার বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে।
আরেক ফিলিস্তিনি মুহাম্মদ হালাওয়েহও ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকে তার পরিবার ও আত্মীয়দের ফিরে আসার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ে, ভাই এবং আরও অনেক প্রিয়জনদের জন্য অপেক্ষা করছি। গত ১৫ মাস ধরে এত কষ্টের পর অবশেষে তারা ফিরে আসছে এটা একটা বিশাল বিজয়। ’
হালাওয়েহও বলেন, ‘এই অনুভূতি বর্ণনা করা যাবে না। আল্লাহর শুকরিয়া, যুদ্ধের সময় দখলদারিত্ব আমাদের আলাদা করার পর আমি আমার পরিবারের সাথে পুনরায় মিলিত হয়েছি। ’
তিনি আরও বলেন, ‘গাজা উপত্যকায় সমস্ত ধ্বংস সত্ত্বেও, আমরা এটি পুনর্নির্মাণ করব।’
ইসরাইলি সেনাবাহিনী বাধা সত্ত্বেও পায়ে হেঁটে গাজায় ফেরত আসের সুবি আরাফাত। যখন সে পায়ে হেঁটে উত্তর দিকে যাত্রা করে, তখন তার মনে আশা ও আনন্দের এক অনুভূতি জেগে ওঠে। তিনি বলেন, ‘এই অনুভূতিগুলো অবর্ণনীয়।’
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct