আপনজন ডেস্ক: বিভিন্ন দেশের কড়া সমালোচনার পর অবশেষে ভিক্ষাবৃত্তিকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে আইন প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান। এ লক্ষ্যে ২০১৮ সালের মানবপাচার আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার।
এরই মধ্যে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিদ্যমান আইন সংশোধনের লক্ষ্যে নতুন একটি ধারা যোগ করে মানবপাচার প্রতিরোধ (সংশোধন) বিল-২০২৪-এর ধারা ৩-এ ‘সংগঠিত ভিক্ষাবৃত্তি’ শব্দটি যুক্ত করার প্রস্তাব করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সৌদি আরবসহ পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনীতিক সম্পর্ক রয়েছে এমন বিভিন্ন দেশের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
হজ, ওমরাহ এবং অন্যান্য ধর্মীয় তীর্থযাত্রার জন্য দেশগুলোতে আসা হাজার হাজার পাকিস্তানি ভিক্ষাবৃত্তি এবং অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কারণে পাকিস্তানের কূটনৈতিক মিশনগুলো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। প্রস্তাবিত খসড়া সংশোধনী বিলটিও একই বিষয় তুলে ধরে আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেছে।
বিলটিতে বলা হয়েছে, ‘এই অনুশীলনে জড়িত এজেন্ট এবং গ্যাংগুলো সহজেই মামলা এড়াতে পারে কারণ, ফেডারেল তদন্ত সংস্থা (এফআইএ) এর ওপর ন্যস্ত কোনো আইনে ভিক্ষাবৃত্তি অপরাধ নয়। বিষয়টির সংবেদনশীলতার কারণে ভিক্ষাবৃত্তিকে অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করার জরুরি প্রয়োজন।
সৌদি আরবে হাজার হাজার পাকিস্তানি ভিক্ষা করতে গিয়ে ধরা পড়ার পর পাকিস্তান সরকার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিতে বাধ্য হয়েছে। সৌদি সরকার পাকিস্তানের ভিক্ষুক, অসুস্থ ব্যক্তি বা দক্ষতাহীন ব্যক্তিদের না পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছে। পাকিস্তান সম্প্রতি প্রায় ৪ হাজার ৩০০ ভিক্ষুককে নো-ফ্লাই তালিকায় রেখেছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে সৌদি সরকার।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct