সেখ রিয়াজুদ্দিন, বীরভূম, আপনজন: সম্প্রতি সিবিআইয়ের বারবার ডাকাডাকিতে একেবারে নাজেহাল বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি। কখনও ভোট পরবর্তী অশান্তি মামলা, আবার কখনও গরুপাচার মামলা। কলকাতা-বোলপুর যাতায়াত চলছেই শারীরিক অসুস্থতার মধ্যে। এরইমধ্যে মঙ্গলবার বোলপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অনেকটা পুরনো মেজাজেই ধরা দিলেন বীরভূম জেলা তৃনমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।এদিন অনুব্রত দাবি করেন, বঙ্গে বিজেপির কোনও সংগঠনই নেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের দল চলে, সঙ্গে কিছু তৃণমূল ছেড়ে যাওয়া লোক। একইসঙ্গে তিনি বলেন, সিবিআইয়ের এই ডাকাডাকির কারণ একেবারেই ‘ফলস’, ২০২৪ পর্যন্ত তারা ডাকাডাকি করবেই,আমি ও প্রয়োজনে যেতে প্রস্তুত,আমি তো চোর নই,ডাকাত নই, আমি মহাদেবের ভক্ত। বোলপুরে দলীয় কার্যালয়ে বলেন,বিজেপি যা কিছু করছে লুকিয়ে করছে। তারা রাজনীতি করছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। ওদের তো লোকজন নেই। শুধু নোংরামি করছে। আরে তৃণমূলের লোক নিয়ে কি আর বিজেপি করা যায়। আমি যদি এখন বিজেপিতে যাই, তৃণমূলের লোকেরা তো আরও সক্রিয় হবে। বলবে বেইমানের বাচ্চাটা, কেষ্ট মণ্ডল বিজেপিতে চলে গেল। দে আরও বেশি করে ভোটদে তৃণমূলকে। এতে তো তৃণমূলই শক্তিশালী হচ্ছে। সংগঠনের লোক তৈরি করে রাজনীতি করতে হয়। লড়াইটা রাজনীতির ময়দানেই হোক। লড়াই করে আমি উঠে এসেছি। ৩৪ বছর বামেদের সঙ্গে লড়েছি, কংগ্রেসের সঙ্গে লড়েছি।সিবিআই প্রসঙ্গ উঠতেই অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “আমি তো চুরিও করি নাই, ডাকাতিও করি নাই। আমি মহাদেবের ভক্ত। ওরা যেটা বলে ডাকছে ফলস ডাকছে।” একইসঙ্গে অনুব্রত মন্ডল শারীরিক সম্পর্কে জানান, শ্বাসকষ্ট জনিত কিছুটা সমস্যা রয়েছে এখন পর্যন্ত। তবে ২১ জুলাইয়ের সভাতে যাবেন। আর পুজো মিটলেই পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে নামবেন। সমস্ত ব্লকে ব্লকে সভা হবে, জনসভা হবে। ঠিক যেভাবে সভা করেন তিনি।২১ শে জুলাই শহীদ দিবস উপলক্ষে বীরভূম জেলা থেকে দুই লক্ষ মানুষ কোলকাতা জনসভায় যোগ দেবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct