অমরজিৎ সিংহ রায়, বালুরঘাট, আপনজন: বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে আন্দোলনে নামল নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতি। দাবির সমর্থনে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক এর দফতর ঘেরাও করে বিক্ষোভ ও ডেপুটেশন কর্মসূচিতে শামিল হলেন সংগঠনের শতাধিক কর্মী। মূলত অবিলম্বে স্কুলে পঠন পাঠন চালু করা, শিক্ষক শিক্ষা কর্মী নিয়োগে দুর্নীতির সাথে যুক্ত দের গ্রেপ্তার ও শাস্তি প্রদান করা, উৎসশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষক বদলির ক্ষেত্রে দুর্নীতি বন্ধ করা, গঙ্গারামপুর মহাকুমার অতিরিক্ত জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক(মাধ্যমিক) এর দফতর সচল করার, প্রভৃতি দাবি দাবা নিয়ে এদিন এই ডেপুটেশন কর্মসূচিতে শামিল হয় এবিটিএ। নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতির দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা শাখার সদস্যরা বৃহস্পতিবার ডেপুটেশন কর্মসূচির আগে বালুরঘাটে হাসপাতাল মোড় এলাকায় মিছিল বেরকরে। এর পরে মিছিলটি জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক এর দপ্তরের কাছে এসে শেষ হয়। এরপরই সংগঠনের কয়জন সদস্য জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক এর কাছে ডেপুটেশন দেন।
এবিষয়ে নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতির দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা শাখার সম্পাদক কল্যাণ দাস জানান, আমরা জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিকের) দপ্তরে ডেপুটেশন দেবার জন্য উপস্থিত হয়েছি। করোনার কারণে বিগত প্রায় ২৩ মাস স্কুল বন্ধ ছিল। ফলে পঠন-পাঠনে ব্যাপকভাবে ক্ষতি হয়েছে। সেই ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা না করে ফের ৪৫ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এইযে শিক্ষাবিরোধী পদক্ষেপ তার আমরা নিন্দা করছি। বামেদের পর ২০১১ সাল থেকে যে সরকার ক্ষমতায় এসেছে তারা শিক্ষক নিয়োগের নামে নজিরবিহীন দুর্নীতি করেই চলেছে। আমাদের রাজ্যে যা কখনো ঘটেনি। যারা ইন্টারভিউ দেননি, যারা আবেদন করেননি তাদের কে নিয়োগ করা হয়েছে। অথচ তালিকায় যাদের নাম ছিল তাদের নিয়োগ করা হয়নি।
রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী থেকে শুরু করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সকলেই এই দুর্নীতির সাথে যুক্ত রয়েছে। আমরা মনে করি প্রাথমিক শিক্ষক- শিক্ষকা নিয়োগের ক্ষেত্রেও এরূপ দুর্নীতি করা হয়েছে। এবং কলেজ সার্ভিস কমিশন এর মাধ্যমে নিয়োগের ক্ষেত্রেও একই রকম ঘটনার নিদর্শন পাওয়া যাবে। তাই এই দুর্নীতির সাথে যারা যুক্ত তাদের খুঁজে বের করে তাদের গ্রেফতার এবং শাস্তির দাবি আমরা জানাই। পাশাপাশি, বর্তমানে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের দপ্তর গুলি তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় দপ্তরে পরিণত হয়েছে। উৎসশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে যে ট্রান্সফারের ব্যবস্থা করা হয়েছে সেখানে ১০ শতাংশ শিক্ষক বদলির নিয়ম মানা হচ্ছে না। সকলেই বদলি হচ্ছে, কোন নিয়ম কানুন না মেনেই। দিনের আলোতে অর্থ নিয়ে এই দুর্নীতি গুলো চলছে। আমরা তার তীব্র নিন্দা করছি। এবং ডিআই অফিসে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। শিক্ষক-শিক্ষিকা বিশেষত প্রধান শিক্ষকদের উপরে নানাভাবে মানসিক চাপ তৈরি করা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি অন্যান্য দাবি দাবা নিয়ে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক কে ডেপুটেশন দিয়েছি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct