সাদ্দাম হোসেন, জলপাইগুড়ি, আপনজন: সরকারি বিধিনিষেধকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দেখিয়ে ধূপগুড়িতে ফের দিনে দুপুরে চলছে নয়ানজুলি ভরাট। বেনিয়ম টাই যেন অলিখিত ভাবে নিয়মে পরিনত হয়েছে ধূপগুড়ি তে। যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার কড়া হুশিয়ারি দিয়েছেন যে কোনোভাবেই জলাশয় ভরাট করা যাবেনা।যদি কোথাও বেআইনিভাবে জলাভূমি ভরাট হয় সেক্ষেত্রে কড়া পদক্ষেপ নিবে পুলিশ প্রশাসন এবং পৌরসভা, সেচ দপ্তর এবং ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর । সেখানে কোন আলৌকিক শক্তির সাহায্যে ধূপগুড়িতে বারংবার নয়ানজুলী ভরাট হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা ।প্রকাশ্য দিবালোকে নয়ানজুলি ভরাট হলেও নীরব পুলিশ প্রশাসন এবং পৌর কর্তৃপক্ষ। ধূপগুড়ি পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের দুই নম্বর ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় এমনই বেনিয়মের ঘটনা ঘটছে ।প্রকাশ্য দিবালোকে জেসিবি মেশিন ব্যবহার করে ভরাট করা হচ্ছে নয়ানজুলি। ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দা থেকে ব্যবসায়ীরা। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। শুক্রবার প্রকাশ্য দিবালোকে শহরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের দুই নম্বর ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় জেসিবি মেশিনের সাহায্যে চলছে নয়ানজুলী ভরাট। এদিকে ধূপগুড়ি পূরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য নাকি জানেই না ধূপগুড়ির কোথায় নয়ানজুলী ভরাট হচ্ছে, এমনকি পূর বোর্ডেও নাকি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি এবিষয়ে। অবৈজ্ঞানিক ভাবে জলাশয় ভরাট করলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার আশংকা করছেন পরিবেশ কর্মীরা এমনকি এরফলে নষ্ট হয়ে যেতে পারে বাস্তুতন্ত্র। যার খেসারত দিতে হবে পরবর্তী প্রজন্মকে।
১৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন বিজেপি কাউন্সিলর ননী গোপাল সরকার বলেন, আমাদের ওয়ার্ডে এমনিতেই বন্যা প্রবণতা বেশি। সামন্য বৃষ্টি এলেই জলে ডুবে যায়।তার মধ্যে জলাশয় ভরাট চলছে দিনে দুপুরে। প্রশাসন যদি ব্যবস্থা নিয়ে কাজ বন্ধ না করে, তাহলে আমরা ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবো।ধূপগুড়ি পূরসভার এক্সকিউটিভ অফিসার দীপক কর বলেন, নয়ানজুলী ভরাট করা যায়না। এতে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়। তিনি আশ্বাস দেন বিষয়টা ক্ষতিয়ে দেখার জানেন না এবং পুর প্রশাসক বোর্ডের সদস্যদের সাথে কথা বলার। পূর প্রশাসক বোর্ডের সদস্য অরূপ দে বলেন, পুরসভায় নয়ান জুলী ভরাটের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।কে বা কারা ভরাট করছে পেছনে কারা রয়েছে ক্ষতিয়ে দেখে ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে। নয়ান জুলি ভরাট না করে ফুট ব্রিজ করা যেত। যেটা হচ্ছে তা বেআইনি। স্থানীয় বাসিন্দা বিমল রায় বলেন, পুলিশ প্রশাসনের চোখের সামনে জল থাকা জলাশয় ভরাট করা হচ্ছে। নেতারা এর পেছনে যুক্ত না থাকলে এটা করতে পারতো না। স্থানীয় ব্যবসায়ী দেবব্রত দাস বলেন, যে ভাবে নয়ানজুলী ভরাট করা হচ্ছে এতে পরিবেশের ক্ষতি হবে। আমরা চাই অবিলম্বে ভরাট বন্ধ করা হোক।পরিতোষ নামে ঠিকাদারের জেসিবি মেশিন চালক বলেন, আমাকে ময়নাগুড়ি থেকে আনা হয়েছে আমি কিছু জানি না। আমাকে রস্তার সমান ভরাট করতে বলেছে আমি তাই ভরাট করছি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct