সাদ্দাম হোসেন মিদ্দে, কলকাতা, আপনজন: মালবাজারে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনে হড়পা বানে আটজন মর্মান্তিকভাবে প্রাণ হারিয়েছেন। মৃতদের মধ্যে এক নাবালিকা এবং এক শিশুও রয়েছে। রয়েছেন ৭২ বছরের এক বৃদ্ধও। এই ঘটনায় ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের পক্ষ থেকে মৃতের পরিবারের প্রতি শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন সহ আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করলেন বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী। এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে পীরজাদা নওসাদ সিদ্দিকী জানান, মাল মহাবিদ্যালয়ের পাশে মাল নদীর ব্রিজ। তার নিচে বালির চরের দুই পাশ দিয়ে স্রোতকে বালি ও পাথরের বাঁধ দিয়ে আটকে প্রতিমা বিসর্জনের ব্যবস্থা করা হয়। গাড়ি ও মানুষের সমাগমও হয় নদীর মধ্যে। মাল পৌরসভা ও প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা এই ব্যবস্থা করে। এইভাবে বালি বাঁধে আটকে বিসর্জনের ব্যবস্থা করা খুবই ভুল সিদ্ধান্ত। হড়পা বান ও তুমুল বৃষ্টি পরিস্থিতিকে ভয়াবহ করে দেয়। এইভাবে স্রোত না আটকে মাল শহরের দিক থেকে এসে ঐখানে মাল নদীর ডানহাতি প্রবাহে বিসর্জন করে ফিরলে এই দুর্ঘটনা ঘটত না। কিন্তু প্রশাসনের ভুল সিদ্ধান্তের মাসুল দিতে হল সাধারণ মানুষকে। নওসাদ সিদ্দিকীর অভিযোগ, এই ঘটনায় পুলিশ প্রশাসন ও বিপর্যয় মোকাবিলা করার টিমকেও সকাল পর্যন্ত দেখতে পাওয়া যায়নি। জেলায় জেলায় বিপর্যয় মোকাবিলা করার টিম থাকার কথা। শারদোৎসবের আগে স্থানীয় প্রশাসন, বিপর্যয় মোকাবিলা টিম, পুলিশের মধ্যে কি কোন বৈঠক কি আদৌ হয়েছে? তাহলে জলপাইগুড়ি জেলার ঐ টিমের সক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। তার আরও অভিযোগ, এই ঘটনা প্রমাণ করছে পরিবেশ রক্ষায় সরকারের গাফিলতি। বনজঙ্গল কেটে সাফ করে দিয়ে নদীর গতিপথ পরিবর্তন করে পরিবেশের সর্বনাশ করা হচ্ছে। এই ধ্বংসযজ্ঞে পঞ্চায়েত স্তর থেকে জেলাপ্রশাসন, সকলের মদত আছে। অবিলম্বে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার জন্য দোষীদের আইন মোতাবেক কঠোর শাস্তি দিতে হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct