জুলফিকার মোল্যা, বসিরহাট: দেশের সবচেয়ে বড় অনুপ্রবেশকারী হলেন মোদী অমিত শাহ, নির্বাচনের নামে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করছেন। এটা কখনো আমরা হতে দেব না, যে কোনো মূল্যে এটা হতে দেব না। শনিবার বসিরহাট মহকুমা বসিরহাট দক্ষিণ বিধানসভা সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত কংগ্রেসের প্রার্থী অমিত মজুমদারের সমর্থনে পিফা ইয়ং স্টার ক্লাবের মাঠে প্রকাশ্য জনসভায় মোদি-অমিত শাহজে এভাবেই কটাক্ষ করলেন।
অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, ‘কেন্দ্রের ১৯ টা বিজেপি শাসিত রাজ্য সেখানে কোন এনআরসি হচ্ছে না। নির্বাচন আসে এনআরসির কথা বলে, আসামে এনআরসি করে ভুল করেছে, সেখানে তিনি বলছেন ১৯ লক্ষ বাঙালির মধ্যে ১৪, লক্ষ হিন্দু নাম বাদ গিয়েছে। একদিকে হিন্দু জাগিয়ে তুলে নির্বাচনে ভীতসন্ত্রস্ত করে, জেতার জন্য এনআরসির ভয় দেখাচ্ছে।’ এদিন তাঁর বক্তব্যে বারেবারে সম্প্রতির উপমা উঠে আসে ভারতবর্ষকে স্বাধীন করার জন্য একদিকে খান আবদুল গফফর খান অপরদিকে লড়াই করেছে জহরলাল নেহেরু তবে অপরপ্রান্তে মাওলানা আবুল কালাম আজাদ হিন্দ আমাদের কোন অসুবিধা হয়নি। দেশের জন্য শহীদ হয়েছে ক্ষুদিরাম অপরদিকে আশফাকুল্লা খাঁ সেখানে কোন অসুবিধা হয়নি। ভারতের পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরই করেছে এপিজে আব্দুল কালাম সেখানে অসুবিধা হয়নি। এ আর রহমানের “মা তুযে সেলাম” গানে কারো অসুবিধা হয়েছে? বিদেশের মাঠে পান্থ ও সিরাজকে একসাথে সিরিজ জয় দেখে কারো খারাপ লাগেনা” এভাবেই একাধিক উপমা দিয়ে কঠাক্ষ করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
মঞ্চ থকে এদিন তৃণমূল নেত্রীকেও একহাত নিয়ে বলেন, “ইমাম মোয়াজ্জেন ভাতা দিতে কেও বলেনি। মুহাম্মদ সা.-এর ইসলাম প্রতিষ্ঠা করার পর থেকে মক্তব, মাদ্রাসা, মসজিদ ছিল আর থাকবে। মুসলিম কারও দয়া দাক্ষিণার দরকার পড়েনি।
উঁনি যেচে ওয়াকফ বোর্ডের টাকা দিয়ে ফোঁটানি মেরেছে। বাংলায় ওয়াক সম্পত্তির ঠিক মত ব্যবহার করা গেলে বছরে দশ থেকে বারো হাজার কোটি টাকা পাওয়া যাবে।”
পাশাপাশি তিনি বলেন, নন্দীগ্রামে দিদির নৈতিক পরাজয় হয়ে গেছে, নন্দীগ্রামের সাত নম্বর বুথে দু’ঘণ্টার বসে ছিলেন, সেখানে বসে বিজেপির সবচেয়ে বড় দালাল রাজ্যপালকে তিনি ফোন করেছেন। কংগ্রেসের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে তিনি চিঠি লিখে তিনি সাহায্য চেয়েছে, এতেই বোঝা যাচ্ছে নন্দীগ্রামে নৈতিক পরাজয় হয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের একমাত্র লড়াই বাংলা বাঁচানোর লড়াই তাই এই নির্বাচনে সংযুক্ত মোচা সমর্থিত প্রার্থীদের বিপুল ভোটে জয়ী করুন। মোদী অমিত শাহ, বারবার বলছেন যে সোনার বাংলা করবেন, কালো টাকা উদ্ধার করে যে টাকা দেয়ার কথা ছিল তা দেননি। পাশাপাশি এদিন মঞ্চ থেকে বলেন, চার ঘন্টার মধ্যেই হঠাৎ লকডাউনের সিদ্ধান্তে চোদ্দ কোটি মানুষ কর্মসংস্থান হারিয়েছেন ও করোনার সময় যে পরিযায়ী শ্রমিক না খেতে পেয়ে মরেছে তিনি তখন কি করে চুপ করে বসে ছিলেন। মোদীজি বলেছিলেন ২১ দিনে করোনা চলে যাবে, যেদিন দেশ থেকে বিজেপি সরকার চলে যাবে সেদিনই এদেশ থেকে করোনা চলে যাবে।’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct