সম্প্রীতি মোল্লা, মঙ্গলকোট, আপনজন: রবিবার সকালে পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোটের দেওলিয়া গ্রামে ‘স্বজনহারা’ কান্নায় বিষাদ এলো এলাকায়। বছর ছত্রিশের আরমান খাঁ এর লাশ এলো তার ভিটেয়।বাড়তি রোজগারের আশায় রাজমিস্ত্রী আরমান পাড়ি দিয়েছিল ভিনরাজ্যে।তার আর বাড়ি ফেরা হলো না।হলো না তার রোজগারের অর্থে নিজস্ব বাড়ি করা। এতকিছুর মাঝে রবিবার সকাল সাড়ে আটটায় যখন লাশ এলো, সেসময়ই এলাকার জনপ্রিয় বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী পৌঁছে যান নিহতের বাড়িতে। সরকারি সাহায্যের পাশাপাশি বিধায়ক হিসাবে যা যা করণীয় তা করবেন বলে এদিন আশ্বাস দিয়েছেন অপূর্ব বাবু।মঙ্গলকোট থানার আইসি পিন্টু মুখার্জি গত শুক্রবারে ওড়িশার বালেশ্বরে দুর্ঘটনার রাতের দিন থেকেই এলাকায় কারা কারা গিয়েছেন? কারা কারা নিখোঁজ সবই খবরাখবর রাখা তে সক্রিয়তা দেখিয়েছেন। গত শুক্রবার রাতে মঙ্গলকোটের দেউলিয়া গ্রামের এক ব্যক্তি নিখোঁজ থাকার পর এদিন সকালে হঠাৎ করে মৃতদেহ গ্রামে আসতেই গোটা গ্রামে কান্নার রোল পড়ে যায়।বালেশ্বরে রেল দুর্ঘটনায় নিখোঁজ ছিলেন মঙ্গলকোটের দেউলিয়া গ্রামের আরমান খাঁ। তিনি কেরালায় যাচ্ছিলেন রাজমিস্ত্রির কাজ করতে। আরমান বলেছিলেন যে, বাইরে কাজে গিয়ে টাকা রোজগার করে তিনি একটি বাড়ি নির্মাণ করবেন। দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল তার। বর্তমানে তার একটি খরের চাল দেওয়া মাটির ঘর রয়েছে।সঙ্গে রয়েছে স্ত্রী দুই সন্তান ও মা । স্বপ্ন আর পূরণ হলো না, টাকার বদলে তার মৃতদেহ এল বাড়িতে। আর নিহতের শোকে শুধু কান্নার রোল পরিবার জুড়ে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct