আপনজন ডেস্ক: গত কয়েক বছর ধরে ২০১২ সালের নির্দেশিকা অনুযায়ী মিউচুয়াল ট্রান্সফারের আবেদন এসএসসি অফিসে জমা করে আসছেন অনেক সংখ্যক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী।নিয়মানুযায়ী সকলে একহাজার টাকার ডিমান্ড ড্রাফট সহ মিউচুয়াল ফর্ম জমা করে এসএসসির হেড অফিস আচার্য সদনে। আবেদনকারী শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা লকডাউন চলা স্বত্বেও দূর দূরান্ত থেকে আচার্য ভবনে এসে ফর্ম জমা দেন। করোনা পরিস্থিতি ও লকডাউনের জন্য হেয়ারিং না হওয়ায় মিউচ্যুয়ালের আবেদন করা সকল শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা সমস্যায় পড়েন। কিন্তু গত ৭ই অক্টোবর শিক্ষামন্ত্রী সমস্ত জমা পড়া মিউচুয়াল ট্রান্সফারের ফর্ম গুলো ৭দিনের মধ্যে ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা করেন। শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণা মতো গত ১৪ ও ১৫ই অক্টোবর সমস্ত জেলা ডিআই এর দ্বারা ফোনের মাধ্যমে সকল জমা দেওয়া ফর্মের ভিত্তিতে সকলের ভার্চুয়াল হেয়ারিং ও ভেরিফিকেশন হয়। সেই অনুযায়ী, গত ২০ই অক্টোবর এসএসসি অফিস ওয়েবসাইটে ৫১০জনের রেকোমেন্ডেশন প্রকাশ করে এবং সেই রেকোমেন্ডেশন মতো মধ্যশিক্ষা পর্ষদও নতুন স্কুলে যোগদান করার জন্য ম্যাচিং অর্ডারের নোটিশ প্রকাশ করে। যেগুলো ছাড়া হয়নি সে বিষয়ে কোন তথ্য এসএসসি অফিস প্রকাশ না করায় সমস্যায় পরেছেন বহু শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। তাদের লিস্ট কেন বের হচ্ছেনা তার কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি বিকাশ ভবনের সংশ্লিষ্ট শিক্ষা দপ্তর থেকে। এমতাবস্থায় একমাস অতিক্রান্ত হলেও বাকী রেকোমেন্ডেশন গুলি নিয়ে কোন পদক্ষেপ না হওয়ায় শিক্ষক সংগঠন " অল পোস্ট গ্র্যাজুয়েট টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন" পুনরায় গতকাল ডেপুটেশন দেয়। সংগঠনের পক্ষ থেকে এই বাকি মিউচুয়াল ট্রান্সফারের রেকোমেন্ডেশন গুলি ছেড়ে দেওয়ার জন্য কমিশনার, প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি, ওএসডি সহ বিভিন্ন আধিকারিকদের উদ্যেশ্যে দাবিপত্র জমা দেওয়া হয়। এপ্রসঙ্গে সংগঠনের সম্পাদক চন্দন গরাই বলেন, " অনলাইন মিউচুয়াল ট্রান্সফার শুরু একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। যদিও অনলাইনে শিক্ষাকর্মীরা এখনও সুযোগ পাচ্ছেন না। শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী বাকি রেকোমেন্ডেশনগুলি অবিলম্বে প্রদান করার জন্য অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে শিক্ষা দপ্তরকে।"
সংগঠন এর ট্রান্সফার ইউনিট " অল বেঙ্গল ট্রান্সফার ফোরাম" এর কনভেনার সৌভিক রেজ বলেন, " মিউচুয়াল ট্রান্সফারের অফলাইন ফর্ম নিয়ে শিক্ষা দপ্তরের বিড়ম্বনা অযৌক্তিক। "
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct