আপনজন ডেস্ক: দিন কয়েক আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, প্রত্যেক বছর সংসদে অধিবেশন শুরু হলে তিনি একবার দিল্লি যান। এর কারণ হিসেবে বলেছিলেন, পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হয়। অনেক নতুন বন্ধুর সঙ্গেও দেখা হয়। এবার নির্বাচনে জেতার পরে যাওয়া হয়নি। কারণ কোভিড বিধি। তবে এবার যাব। সময় পেলে প্রধানমন্ত্রী–রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও দেখা করব। সূত্রের খবর ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার সেই দিল্লি সফর করবেন ২৫ জুলাই। কিন্তু এখন শোনা যাচ্ছে সেই সূচি বদল করে একদিন পরে করেছেন। মমতা দিল্লি যাবেন ২৬ জুলাই।
ওইদিন বিকেলে কলকাতা থেকে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। চারদিনের সফর সূচিতে কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধি, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার, সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবের সঙ্গে দেখা করবেন। তার সঙ্গে থাকতে পারেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরও।
আর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার জন্য ইতিমধ্যে সময় চাওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
মমতার এই দিল্লি সফর যে পুরোপুরি রাজনৈতিক তা স্পষ্ট হয়ে উঠছে। সূত্রের খবর একদিকে প্রধঅনমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করে মমতা রাজ্যের বকেয়া আদায় নিয়ে সোচ্চার হতে পারেন। অন্যদিকে, বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বচানে বিজেপি বিরোধ জোট গড়ে লড়াই করার ব্যাপারে আলোচনা করতে পারেন। বিশেষ করে, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি যেভাবে মমতাকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে তুলে ধরছে চাইছে সে ব্যপারে রণকৌশলও স্থির হতে পারে। তার প্রাথমিক উদ্যোগ হিসেবে এবার দিল্লি, গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে মমতার ২১ জুলাইয়ের ভাষণ সরাসরি শোনানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সে নিয়েও মমতার পরিকল্পনার কথা বিরোধী নেতাদেরকে বলা হতে পারে যাতে দেশজুড়ে মোদি বিরোধী হাওয়া জোরদার করা যায়। তাই মমতার দিল্লি সফর নিয়ে তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক মহল।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct