দেবাশীষ পাল , মালদা, আপনজন: মহাকুন্তে অমৃত স্নানে গিয়ে ভিড়ে চাপে অসুস্থ হয়ে অকালেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল মালদার এক প্রাথমিক শিক্ষক। শুক্রবার সাত সকালে মৃত শিক্ষকের নিথর দেহ গ্রামে পৌঁছালে গভীর শোকের ছায়া নেমে এল মালদার বৈষ্ণবনগর থানার বীরনগর-২নং গ্রাম পঞ্চায়েতের চরবাবুপুর এলাকায়।পরিবার ও আত্মীয়দের দশজনের দলের সঙ্গে মহাকুম্ভে স্নানে যান তিনি। ভিড়ের চাপে শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় তাঁর। শুক্রবার দেহ ফিরেছে মালদহের বাড়িতে। শোকের ছায়া গ্রামজুড়ে। পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এলাকায় যান বৈষ্ণবনগরের তৃণমূল বিধায়ক চন্দনা সরকার। মহাকুম্ভের ব্যবস্থাপনা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেন সহযাত্রীরা। শিক্ষকের মৃত্যুতে যোগী সরকারের ব্যর্থতাকে নিশানা তৃণমূল বিধায়কের।গত বুধবার ভোরে পুণ্যস্নান করেন অমিয়। এরপর ফেরার সময় পরিবারের অনেকের সঙ্গে কিছু সময় পর বিচ্ছিন্ন হয়ে যান। পরে পরিবারের লোকজনকে খুঁজে পেলেও ভিড়ে শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তাঁর। অসুস্থ অবস্থায় বহুকষ্টে গাড়ির ব্যবস্থা করে তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।জানা গেছে, মৃত স্কুল শিক্ষকের নাম অমিয় সাহা, বয়স ৩৩ বছর। তিনি বৈষ্ণবনগরের কার্তিকটোলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। পরিবার সূত্রে খবর, তিনি গত মঙ্গলবার পরিবারবর্গ সহ আত্মীয়দের দশজনের, এক দল নিয়ে উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভ মেলায় অমৃত স্নান করতে যান। সেখানে বুধবার পৌঁছে যথারীতি অমৃত স্নানও করেন। কিন্তু ফেরার সময় প্রচন্ড ভিড়ের চাপে তিনি হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। তাকে তড়িঘড়ি করে পরিবারবর্গ কোনরকমে হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু হাসপাতালে যাওয়ার আগে রাস্তাতেই তার মৃত্যু হয় বলে খবর। এরপর শুক্রবার সকালে মৃত স্কুল শিক্ষক অমিয় সাহার নিথর দেহ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছায়। স্বভাবতই পরিবারবর্গ কান্নায় ভেঙে পড়েন। গভীর শোকের ছায়া নেমে আসে গোটা এলাকায়। এদিকে এই খবর পেয়ে বৈষ্ণবনগরের বিধায়ক, চন্দনা সরকার শুক্রবার সকালে মৃত স্কুল শিক্ষকের বাড়ি যান। তিনি মৃতের পরিবারকাকে সমবেদনা জানান। পাশাপাশি তিনি মহাকুম্ভ মেলার পরিকাঠামো এবং পরিকল্পনাহীনতার অভিযোগ তুলে উত্তর প্রদেশের যোগী সরকারের কড়া সমালোচনা করেন।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct