আপনজন ডেস্ক: লস অ্যাঞ্জেলেসের ইতিহাসে এত ধ্বংসাত্মক দাবানল আগে দেখা যায়নি। যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস শহরের উত্তর-পশ্চিমের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে ভয়াবহ আগুন। পুড়ে যায় প্রশান্ত মহাসাগরের তীরবর্তী শহর সান্তা মনিকা ও মালিবুর মতো সমুদ্রতীরবর্তী এলাকা। এ ছাড়াও আগুন ছড়িয়ে পড়ে প্যাসাডেনার আশপাশের উপশহর এবং সান ফার্নান্দো উপত্যকার বিভিন্ন অঞ্চলে। এদিকে অবশেষে লস অ্যাঞ্জেলেসের পূর্বে ১৪ হাজার একর (৫৭ বর্গকিলোমিটার) এরও বেশি জমিতে ছড়িয়ে পড়া ইটন শহরের আগুন শতভাগ নিয়ন্ত্রণে এসেছে। গতকাল শুক্রবার দমকল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, লস অ্যাঞ্জেলেসের উভয় পাশে দুটি ভয়াবহ দাবানল ছড়িয়ে পড়ার তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় পরে এই অর্জন একটি মাইলফলক।
ক্যালিফোর্নিয়ার বন ও অগ্নি সুরক্ষা বিভাগ (ক্যাল ফায়ার) জানিয়েছে, লস অ্যাঞ্জেলেসের পশ্চিম দিকে ২৩ হাজার ৪৪৮ একরজুড়ে (৯৫ বর্গকিলোমিটার) বৃহত্তর প্যালিসেডস এলাকার আগুনও এখন শতভাগ নিয়ন্ত্রণে এসেছে। প্রশান্ত মহাসাগরের তীরবর্তী প্যাসিফিক কোস্ট হাইওয়ে সংলগ্ন ‘প্যালিসেডস ফায়ার’ দাবানলটি আকারে সবচেয়ে বড় (মূলত স্থানগুলোর নামানুসারেই চিহ্নিত করা হচ্ছে দাবানলগুলোকে)।
লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ প্রাকৃতিক এ দুর্যোগে ২৮ জন নিহত এবং ১৬ হাজারের বেশি কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে। লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির কর্মকর্তাদের মতে, এক পর্যায়ে ১ লাখ ৮০ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বেসরকারি পূর্বাভাসকারী অ্যাকুওয়েদার এ দাবানলে ২৫০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি ক্ষতি এবং অর্থনৈতিক ক্ষতির পূর্বাভাস দিয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা আগুনের পরিধির কত শতাংশ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছেন তা পরিমাপ করে। তবে আগুনের অভ্যন্তরের কিছু অংশ এখনও জ্বলতে পারে। গত সপ্তাহে দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় দীর্ঘ সময় ধরে বৃষ্টিপাত অগ্নিনির্বাপক কর্মীদের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করেছে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct