সম্প্রীতি মোল্লা, কলকাতা: শুক্রবার সল্টলেকের এমএলএ - এমপি আদালতে কুণালের আত্মহত্যার চেষ্টা সংক্রান্ত মামলার রায়দান ঘটে।এদিনআত্মহত্যার মামলায় দোষী সাব্যস্ত তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। শুক্রবার এমএলএ - এমপি আদালতের বিচারক মনোজ্যোতি ভট্টাচার্য এজলাসে রায়দানে জানান , -’ আত্মহত্যার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু শাস্তি দেব না’। পাশাপাশি কুণাল কে উদ্দেশ্য করে বলেন বিচারক , -’ শুধু ওঁকে বলব এই সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল না।আপনি যে লড়াই করছেন করুন। যত অবসাদই হোক, আত্মহত্যা সমস্যার সমাধান হয় না।আপনি বিশিষ্ট সাংবাদিক। প্রতিষ্ঠিত পরিবারের সন্তান। আপনার কাছ থেকে সমাজ অনেক কিছু আশা করে। আপনি মামলা আইনে লড়ুন এবং কাজ চালিয়ে যান’।উল্লেখ্য, গত ২০১৩ সালে একটি বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার আর্থিক নয়ছয়ের মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল কুণাল ঘোষকে। কুণাল কে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে রাখা হয়েছিল।
২০১৪ সালে ১৩ নভেম্বরে আচমকাই জেলের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন কুণাল ঘোষ। সেই সময় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল যে, কুণাল ঘোষ একসাথে অনেকগুলো ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। সেসময় কুণাল ঘোষকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। সল্টলেকের এমএলএ-এমপি আদালতে কুণাল ঘোষের আত্মহত্যার চেষ্টার মামলা দীর্ঘদিন ধরেই চলে।এই মামলায় জেলের রক্ষী থেকে কয়েদি অনেকের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। বেশকিছু পুলিশকর্তাদেরও সাক্ষ্য নেওয়া হয়। জেল সূত্রে প্রকাশ , ‘কুণাল ঘোষ নিয়মিত অনেক ওষুধ খেতেন’।যদিও কুণাল ঘোষের শারীরিক পরীক্ষা করে চিকিত্সকরা জানিয়েছিলেন, -’ তাঁর পেটের ভিতর অনেকগুলি ঘুমের ওষুধ ছিল’।শুক্রবার এমএলএ - এমপি আদালতের রায় প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ জানান, - ‘ সেদিন যাঁরা বলেছিলেন আমি পাগল ,নাটক করছি। এখন প্রমাণিত হয়েছে। রাজ্য সরকারের পুলিশ প্রমাণ করে দিল যে আমি সেদিন কোনও নাটক করিনি। তা আজ প্রমাণিত’।কুণাল ঘোষের আইনজীবী জানিয়েছেন - ‘৩০৯ ধারায় যে মামলাটি চলছিল, তাতে কুণাল ঘোষ দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। কিন্তু আদালত তাঁকে কোনও শাস্তি দেয়নি’।কুণালের আত্মহত্যার চেষ্টা সংক্রান্ত মামলায় এদিন রায়দান হলেও কিভাবে একসাথে এত ঘুমের ঔষধ পেয়েছিলেন জেলের ভেতত সেই প্রশ্নের যথাযথ উত্তর মিলেনি আজও।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct