অমরজিৎ সিংহ রায়, বালুরঘাট: গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নাবালিকার বিয়ে রুখল প্রশাসন। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকের রামকৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত সুলান্টাপাড়া এলাকার ঘটনা। পরিবারের তরফ থেকে ১৮ বছরের আগে বিয়ে না দেওয়ার মুচলেখা নেওয়া হয়। সদ্য উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করা নাবালিকা মেয়েটি আগামীতেে পড়াশোনা করতেে চায় বলেই জানিয়েছে।
জানা গেছে, ওই নাবালিকার বয়স ১৭ বছর। তার বাড়ি খাসপাড়া এলাকায়। তার বাবা ও মা চুপি সারে নিজের বাড়ী থেকে তাকে সঙ্গে নিয়ে সুলান্টাপাড়া গ্রামে আসে। সেখানেই তার বিয়ের যাবতীয় প্রস্তুতি চলছিল। বিবাহ ঠিক হয়েছিল উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার থানার অধীন গুলান্ধার গ্রামের বাসিন্দা এক যুবকের সঙ্গে।এলাকায় বাল্যবিবাহ হচ্ছে এমন খবর আশে ইন্টার এজেন্সী গ্রুপ আইএজি এর ভলান্টিয়ার এর মাধ্যমে। খবর পেয়ে কুমারগঞ্জ থানার আইসি ও কুমারগঞ্জ ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক এর নির্দেশে জরুরী ভিত্তিতে সুলান্টাপাড়া গ্রামের বাড়িতে হাজীর হয় কুমারগঞ্জ থানার এস.আই যুগল দেব, মধ্যরামকৃষ্ণপুর গ্রামীণ উন্নয়ন সমিতির সম্পাদক মিজানুর রহমান, প্যারালিগাল ভলান্টিয়ার অজয় রবিদাস, আইএজি ভলান্টিয়ার ইয়াছিন মন্ডল, সিভিক ভলান্টিয়ার এর একটি দল। কুমারঞ্জ থানার পুলিশ ও ব্লক প্রশাসনিক আধিকারিকরা এরপর ওই নাবালিকার পরিবারের লোকেদের বাল্য বিবাহের কুফল ও বাল্য বিবাহের আইন সম্পর্কে বুঝিয়ে বিয়ে বন্ধ করে। বিয়ে বন্ধের পাশাপাশি ১৮ বছরের আগে মেয়ের বিয়ে দেবেন না এমন মুচলেখা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিবারের কাছে নেওয়া হয়। ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত ওই নাবালিকার উপর বিশেষ নজর রাখবে চাইল্ড লাইন কর্তৃপক্ষ বলে জানা গেছে। অন্যদিকে মেয়েটি সদ্য উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছে।আগামীতে আরো পড়া শুনা করতে চায় সে। তৎক্ষণাৎ মেয়ের বাবা মা বুঝতে পেরে এবং মেয়েকে বিয়ে দিবেন না বলে অঙ্গীকার পত্রে স্বাক্ষর করেন। আগামীতে কুমারগঞ্জ ব্লক শিশু সুরক্ষা কমিটির পক্ষে ফলোআপ করা হবে বলে জানানো হয়। গ্রাম সংসদ এলাকায় সচেতনতা মূলক কাজ আগামী দিনে আরো বেশি করে করা হবে বলে বিএলসিপিসি কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান জানান।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct