অমরজিৎ সিংহ রায়, বালুরঘাট: বাংলার রাজনীতিতে তৃণমূল কংগ্রেস যে কামতাপুরি লিবারেশন অর্গানাইজেশনের সেন্ট্রাল কমিটির সদস্য পিন্টু বড়ূয়া কোচ ওরফে সুদীপ সরকার আত্মসমর্পণ করলেন পুলিশের নিকট। এবিষয়ে নিজের দপ্তরে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পুলিশ সুপার রাহুল দে।
জানা গিয়েছে , সোমবার সকালে বালুরঘাটে অবস্থিত জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আত্মসমর্পণ করেন কেএলএও জঙ্গী সুদীপ সরকার।এদিনের এই সাংবাদিক সম্মেলনে জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাসিম, ডিএসপি হেডকোয়ার্টার সোমনাথ ঝাঁ সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা।এই কেএলএও জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে আরও যারা জড়িত রয়েছেন তাদেরকে আত্মসমর্পণ করতে এবং সমাজের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা চালাবে বলেই আত্মসমর্পণকারী এই কামতাপুরি লিবারেশন অর্গানাইজেশনের সেন্ট্রাল কমিটির সদস্য পিন্টু বড়ূয়া কোচ জানিয়েছেন।
এবিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে জানান,সুদীপ সরকার কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশন এর সদস্য তথা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। তিনি আজ আমাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। তার বাড়ি কুমারগঞ্জ থানা এলাকায়। তিনি ২০০৫ সালের জঙ্গি সংগঠনের যোগদান করেন। এই সংগঠনের কাজে তিনি ভারতের বাইরে বাংলাদেশ-মায়ানমার ,নেপাল, ভুটান সহ অনেক জায়গায় গিয়েছেন। ২০১২ সালে তিনি দার্জিলিং পুলিশের ধারা আটক হয়েছিলেন। পরবর্তীতে ছাড়া পেয়ে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। এর পরে তিনি বাড়ি ছেড়ে আবার জঙ্গি সংগঠনের সাথে যুক্ত হন। তিনি আমাদের জানিয়েছেন যে তিনি সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসতে চান। আমরা তাকে সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি।
এবিষয়ে কামতাপুরি লিবারেশন অর্গানাইজেশনের সেন্ট্রাল কমিটির সদস্য পিন্টু বড়ূয়া কোচ ওরফে সুদীপ সরকার জানান,
আমি এই জঙ্গী সংগঠনের সাথে যুক্ত হয়ে ভুল করেছি। আমি তাই নিজের ভুল উপলব্ধি করতে পেরে আজকে আত্মসমর্পণ করেছি। এই সংগঠনে যুক্ত হওয়ার ফলে আমার জীবনের অনেকটা গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট হয়ে গিয়েছে।আমি সরকারের সাহায্যে জীবনের মূল স্রোতে ফিরে আসতে পেরেছি।তাই আমি চাইব যারা এই সংগঠনের সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে বা যুক্ত হতে চাইছে তারা সবাই যেন সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসেন। আমি যে ভুল করেছি সে ভুলের পথে যেন আর কেউ পা না বাড়ান।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct