মোল্লা মুয়াজ ইসলাম, পূর্বস্থলী, আপনজন: সোমবার পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীতে শুরু হলো ‘খালবিল চুনোমাছ পিঠেপুলি ও প্রাণিপালন উৎসব।’ ২৩ তম এই মেলা ও উৎসব চলবে মঙ্গলবার পর্যন্ত। এই উৎসবের প্রধান উদ্যোক্তা মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। এবার মূল উৎসবের আগের দু’ দিন ২৩ ও ২৪ ডিসেম্বর উৎসবের প্রচার ও জল বাঁচান শ্লোগানকে সামনে রেখে দোলগোবিন্দপুর, বড় কোবলা, বাঁশদহবিল, চাঁদের বিল, মুন্সির ঘাট ও শ্রীরামপুর এলাকায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা হয়। প্রচারে মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন মন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ‘খালবিল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’-র সম্পাদক তথা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিলীপ মল্লিক।এবছর উৎসবের উদ্বোধন করলেন মৎস্যমন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরী। ছিলেন বিজ্ঞান ও জৈব প্রযুক্তি দপ্তরের মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস, জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামা প্রসন্ন লোহার, জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝি, পশ্চিমবঙ্গ মৎস্য ও প্রানীপালন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য উপাচার্য, কালনার মহকুমাশাসক শুভম আগরওয়াল জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক রামশংকর মন্ডল, বিশিষ্ট বিঞ্জানী সহ অন্যান্যরা। মঙ্গলবার উৎসব ও মেলায় উপস্থিত থাকার কথা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর। মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, গ্রামীণ জলাশয় ও জলাশয়ে বেড়ে ওঠা চুনোমাছকে বাঁচাতে দুই দশক আগে শুরু হয়েছিল ‘খালবিল চুনোমাছ পিঠেপুলি ও প্রাণিপালন উৎসব’। পরবর্তীতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় ‘জল ধরো জল ভরো’ প্রকল্প ও তাঁর নিজের লিখে দেওয়া কবিতা নিয়ে উৎসব বৃহত্তর রূপ পায়। তিনি লিখে দিয়ে ছিলেন, ‘খালবিল আর জলাশয় ভরা, রূপসী বাংলা কন্যা। ওদের সবাই যত্ন করো, ওরা আমাদের অনন্যা।’ এবার উৎসব প্রাঙ্গণ থেকে প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উদ্যোগে আড়াই হাজার হাঁস ও চার হাজার মুরগির বাচ্চা বিলি করা হয়। এছাড়াও খালবিলের জলে এক লক্ষ টাকার চুনোমাছের পোনা ছাড়া হয়। আর খালবিলকে ঘিরে কচুরিপানা হস্তশিল্প, মৎস্যচাষে কর্মসংস্থানের দিক খুলে গিয়েছে। পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে এলাকা। প্রায় ২২ বছর আগে স্বপন দেবনাথ এর উদ্যোগে এলাকার অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া মাছ চাষিদের আয়ের পথ খুলে দিতে জলাশয় বাঁচিয়ে চুনোপুঁটি মাছের চাষ বাড়াতে উৎসাহিত করেন। পূর্বস্থলী - ১ ব্লকের বাঁশদহ বিলের সংস্কার করে সেখানেই শুরু হয় মাছ চাষ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct