আপনজন ডেস্ক: কেরলের রাজ্যপাল আরিফ খান সোমবার সকাল সাড়ে এগারোটার মধ্যে ওই রাজ্যের নটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়জন উপাচার্যকে তাদের পদ থেকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই নির্দেশ নিয়ে তোলপাড় হওয়ার পর কেরল হাইকোর্টে মামলা হয়েছে। নয়জন উপাচার্যের সবাই তাদের পদত্যাগের আদেশের উপর স্থগিত চেয়ে কেরল হাইকার্টের শরণাপন্ন হন। কেরল হাইকোর্টের বিচারপতি দেবন রামচন্দ্রনের বেঞ্চ সব পক্ষের যুক্তি শোনেন। তারপর কেরল হাইকোর্ট তার আদেশে বলেছে, সোমবার গভর্নর কর্তৃক তাদের কাছে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করার পর চূড়ান্ত আদেশ না হওয়া পর্যন্ত নয়জন উপাচার্যের সবাই তাদের পদে বহাল থাকতে পারেন। শুনানির সময় বিচারপতি রামচন্দ্র বিষয়টি নিয়ে রাজনীতিতে না জড়ানোর আহ্বান জানান। পিটিশনকারীদের আইনজীবীদের এ নিয়ে বলেন, যেআমরা যখন এই বিষয়গুলি নিয়ে বিতর্ক করছি এবং বিবেচনা করছি, তখন এটাও মাথায় রাখুন যে কেরলের ছাত্রদের উপর এর প্রভাব কী পড়ছে। আমি সকল আইনজীবীদের অনুরোধ করছি, এই বিষয়ে আদালতে বাইরের রাজনীতিতে না জড়ান।
ইউজিসির নিয়ম লঙ্ঘনের দায়ে এপিজে আবদুল কালাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নিয়োগ বাতিল করার সুপ্রিম কোর্টের আদেশের পর আরিফ মুহাম্মদ খান ৯ জন উপাচার্যকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছিলেন। অব্যম রাজ্যপাল আরিফ মুহাম্মদ খান নজন উপাচার্যকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে ৩ নভেম্বর বিকাল পাঁচটার মধ্যে কারণ দর্শানোর কথা বলা হয়েছে। রাজভবনের তরফে বলা হয়েছে, উপাচার্য হিসেবে তার পদে থাকার আইনি অধিকার ও তার নিয়োগ শুরু থেকেই অবৈধ। যদিও তা বাতিল ঘোষণা করা হয়নি। এ নিয়ে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন রাজ্যপাল আরএসএসের অস্ত্র হয়ে উঠেছেন বলে অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেছেন, রাজ্যপাল আরিফ মুহাম্মদ খান রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) অস্ত্র হিসাবে কাজ করছেন। তারা তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। এটা অগণতান্ত্রিক এবং উপাচার্যের ক্ষমতার সীমালঙ্ঘন। রাজ্যপালের পদ সরকারের বিরুদ্ধে নয়, সংবিধানের মর্যাদা সমুন্নত রাখার জন্য। বিজয়ন আরও বলেন, উপাচার্যকে অপসারণের ক্ষমতা রাজ্যপাল বা চ্যান্সেলরের নেই এবং বিশ্ববিদ্যালয় আইনে এমন কোনও বিধান নেই।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct