আপনজন ডেস্ক: সব মানুষের কাছে ৫০ বছর বয়স অবশ্যই একটি মাইলফলক। জীবনপথের একটা বড় অংশ পেরিয়ে আসা। বয়স বাড়ছে, যুগ বদলাচ্ছে, প্রজন্মান্তরে নিজেকে বেখাপ্পা মনে হচ্ছে? জীবনজুড়ে যে প্রজন্মের জন্য খাটাখাটুনি করলেন, তাদের মাঝে আপনিই তো হতে পারেন চিরতরুণ। গড়পড়তা বাঙালি আবার পরিবার-পরিজনের খেয়াল রাখতে রাখতে নিজের যত্ন নিতে বেমালুম ভুলে যান। কিন্তু সেটা শরীরে আর কতই বা সইবে? তাই সুস্থতার সঙ্গে আপস নয়। কর্মস্থলেও এখনো আপনার প্রয়োজন ফুরায়নি। নিজের জীবনের সাধ-আহ্লাদও থাকতে পারে বাকি। সুস্থতার জন্য নিয়মমাফিক জীবনযাপন আবশ্যক। সময়মতো খাওয়া, সময়মতো বিশ্রাম আর নিয়মমাফিক শরীরচর্চা করা চাই। বয়স বাড়ে মনে। তাই মন থেকে বুড়িয়ে যাবেন না। বয়স বাড়ার অর্থ জীবনের অন্য একপর্যায়ে পদার্পণ। একে নেতিবাচকভাবে নেবেন না। শরীরটা ‘ফিট' থাকলে সবই পারবেন। মনও রাখুন প্রফুল্ল। জীবনকে আপনি দিয়েছেন বিস্তর। এবার নিজের জন্য বাঁচুন। ছবি আঁকা, বই পড়া, লেখালেখি, আবৃত্তি, বাগান করার মতো যেকোনো মননশীল কাজে সময় দিন। খাদ্যাভ্যাস হোক সুষম। শাকসবজি, মৌসুমি ফলমূল এবং পর্যাপ্ত জল পান করুন। চিনি ছাড়া চা-কফি (তবে অতিরিক্ত নয়) এবং দুধ খেতে পারেন। চিনিমিশ্রিত পানীয় আপনার জন্য বর্জনীয়। পাতে বাড়তি লবণ নেবেন না। লাল মাংস এড়িয়ে চলুন। ডিমের সাদা অংশ রোজ খেলেও কুসুম রোজ নয়। কিডনির সমস্যা বা ডায়াবেটিস থাকলে অবশ্য খাদ্যতালিকা ভিন্ন। কোনো উপসর্গ না থাকলেও প্রতিবছরই কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে হয়। ৪০ পেরোলেই করা উচিত আর ৫০–এর পর তো মাস্ট। অনেকে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসে ভোগেন, কারও বাড়ে কোলেস্টেরল। এ ধরনের দীর্ঘমেয়াদি রোগে চিকিৎসার পাশাপাশি ফলোআপও জরুরি (নির্দিষ্ট সময় অন্তর চিকিৎসকের পরামর্শ এবং প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা)। কোনো কিছুর উপসর্গও থাকতে পারে শরীরে, তাই চেকআপে থাকুন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct