আপনজন ডেস্ক: ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর অযোধ্যায় ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ধ্বংস করেছিল উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের বাহিনী। সেই ধ্বংসকে কালো দিন হিসেবে উদযাপন করে ৬ ডিসেম্বর রবিবার সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন কলকাতায় ধর্মতলার স্টেটসম্যান হাউজের সামনে এক বিক্ষোভ প্রদর্শন করল। আর ওই বিক্ষোভ সভায় সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান বললেন, ৬ ডিসেম্বর ভারতের ইতিহামে কালোদিন। তাই ইতিহাসের পাতা থেকে এই কলঙ্ক মুছে ফেলা যাবে না। সেই সঙ্গে দিল্লিতে অব্যাহত কৃষক আন্দোলনের প্রতি সহমর্মিতা দেখিয়ে তিনি অবিলম্বে কালা কৃষক আইন প্রত্যাহারেরও দাবি জানান ওই বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে।
এদিন টিপু সুলতান মসজিদ এলাকায় মিছিল শেষে বিক্ষোভ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের রাজ্য সম্পাদক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান আরও বলেন, স্বাধীন ও ধর্মনিরপেক্ষ ভারত রাষ্ট্রের ইতিহাসে ৬ ডিসেম্বর প্রায় ২৫ কোটি ভারতীয় মুসলিম এবং ১৮০ কোটি পৃথিবীর ইসলাম ধর্ম বিশ্বাসীর কাছে একটি বিলাপের দিন। কালা দিবস। বাবরি মসজিদ শহীদ দিবস। এই অপরাধ ও অন্যায়কে তারা কখনই ক্ষমা করবে না। তারা যতদিন না বাবরি মসজিদ সসম্মানে তাদের ফিরিয়ে দিবে ততদিন মুসলিম সম্প্রদায় শান্তিপূর্ণ পথে প্রতিবাদ অব্যাহত রাখবে।
কামরুজ্জামান বলেন ভয়ানক বর্ণবাদী এক শ্রেণির মানুষ দেশের সবচেয়ে পবিত্র সম্পদ ভারতীয় সংবিধান ধ্বংস করার পাঁয়তারা করছে। তাদের এই অশুভ উদ্যোগকে যে কোনো মূল্যে প্রতিহত করতে হবে। শেকেলে ও অসভ্য মনগড়া মতবাদ চাপিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত আমরা প্রতিহত করব। ভারতীয় সংবিধানের জনক বাবা সাহেব আম্বেদকর ৬ই ডিসেম্বর মৃত্যু বরণ করেন। তার প্রতি অসামান্য শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।
দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের পরিচয় তারা কৃষক। আজ দেশের সবচেয়ে বেশি দলিত ও শোষিত শ্রেণির মানুষের নাম চাষী। বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকার তাদের দোসর কর্পোরেট হাউসগুলোর স্বার্থে এক ভয়ানক কৃষক বিরোধী আইন প্রণয়ন করেছে। এই আইন প্রত্যাহারের দাবিতে দেশের কৃষকরা আজ রাজপথে। গণবিদ্রোহ শুরু হয়েছে। বাঙালি কৃষক ও শ্রমিক শ্রেণির মানুষের পক্ষ থেকে দেশে সংঘটিত পৃথিবীর বৃহত্তম এই আন্দোলনের সঙ্গে আমরা একাত্মতা প্রকাশ করছি। বিবাদিত আইন প্রত্যাহার করতে হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct