সেক আনোয়ার হোসেন, দীঘা: ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ আছড়ে পড়েনি। তবে শনিবার থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলার আকাশ মেঘে আচ্ছন্ন। শুরু হয়েছে ঈষত্ বৃষ্টিপাত। যদিও হাওয়া অফিস জানিয়েছে স্থলভাগে সেভাবে ঝড় না হলেও গভীর নিম্নচাপের জেরে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।তবে, সমুদ্র ইতিমধ্যেই উত্তাল হয়েছে। দিঘার সমুদ্রে ঢেউয়ের উচ্চতা বাড়ছে, চলছে বৃষ্টিও।দিঘা সংলগ্ন উপকূলবর্তী এলাকা পরিদর্শন করলেন রাজ্যের মৎস্য মন্ত্রী তথা রামনগর কেন্দ্রের বিধায়ক অখিল গিরি।
এদিন অখিল গিরি জানান, ‘সকাল থেকে মন্দারমণি, তাজপুর ঘুরে দিঘায় এসেছি। সর্বত্র আমাদের প্রস্তুতি চূড়ান্ত। যদি প্রকৃতির অবস্থা আরও খারাপের দিকে যায় তাহলে নীচু জায়গায় যদি মানুষের বাড়িতে জল ঢুকে যায় তাহলে তাঁদের আমরা উদ্ধার করে আয়লা সেন্টারে রাখব।’পাশাপাশি আশ্রিতদের জন্য রান্না করা এবং শুকনো দু’রকম খাবার, জল ও বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও জানান অখিল গিরি।
বিশেষ করে ঘূর্ণিঝড় যশের প্রভাবে যে সব অঞ্চল অনেক বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয় অর্থাত্ জলদা, চাঁদপুর, জামড়া শামপুর, শঙ্করপুর এই সমস্ত জায়গাকে আলাদা করে নজরে রাখা হচ্ছে। তাছাড়া দিঘায় পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হয়েছে। মত্স্যজীবীদের ক্ষেত্রেও জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। ব্যারিকেড করে রাস্তাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জাতীয় এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকেও তৈরি রাখা হয়েছে।জেলা প্রশাসনের তরফে হলদিয়াতে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বেশ কয়েতটি ত্রাণ শিবির প্রস্তুত রাখা হয়েছে। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের একটি দল হলদিয়াতে পৌঁছেছে। হলদিয়া পুরসভার বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct