আপনজন ডেস্ক: ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস-এর শীর্ষনেতা ইসমাঈল হানিয়ের শাহাদাতে গভীর শোক প্রকাশ করলেন জামাআতে ইসলামী হিন্দের সর্বভারতীয় সভাপতি সাইয়েদ সা’দাতুল্লাহ হোসায়েনি। এই ঘটনাকে মর্মান্তিক, দুঃখজনক ও ইসরাইলের ‘ধর্মান্ধ সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ’ বলে অভিহিত করে তিনি বলেন, বিগত দশ মাস ধরে লাগাতার পাশবিক হামলা চালিয়ে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার হাজার হাজার নিরীহ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে। নারী, পুরুষ, শিশু নির্বিশেষে সকল গাজাবাসীর ওপর নৃশংস বোমা হামলা চালিয়ে সমগ্র উপত্যকাকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছে ইসরাইল।
গত এক বছরে ইসমাঈল হানিয়ের পরিবারের অন্তত ১৪ জন সদস্যকে শহিদ করেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। নিহতের তালিকায় রয়েছে তাঁর সন্তান, ভাই, বোন, চাচা প্রমুখ। অবশেষে গাজা উপত্যকার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইসমাঈল হানিয়েকেও হত্যা করল ইসরাইল।
ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, ইরানের নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডা. মাসুদ পেজেসকিয়ানের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তেহরান সফরে গিয়েছিলেন হানিয়ে। সেখানে ইরানের প্রেসিডেন্ট, বিদেশমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী প্রমুখের সঙ্গে বৈঠকও করেন তিনি। তারপর তেহরানের এক হোটেলে রাত্রি যাপন করেন। সেখানেই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় শহিদ করা হয় দেহরক্ষী-সহ ইসমাঈল হানিয়েকে।
এই মর্মে জামাআতের সভাপতি সা’দাতুল্লাহ হোসায়েনি ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, এই জঘন্য অপকর্ম ইসরাইলের নেতানিয়াহু সরকারের সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডের লজ্জাজনক নিদর্শন। এই কাপুরুষোচিত বর্বরতা আবারও প্রমাণ করল ইসরাইল মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রক্রিয়ায় আগ্রহী নয়। একইসঙ্গে তারা যে মধ্যপ্রাচ্য তথা বিশ্বশান্তির জন্য কতবড় বিপদ ও হুমকি, সেটাও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল ইসরাইল।
বিবৃতিতে সা’দাতুল্লাহ হোসায়েনি গাজাবাসীর প্রতি সমবেদনা ও সংহতি জানিয়ে বলেছেন, মুসলিম বিশ্ব ও মুসলিম সম্প্রদায় মধ্যপ্রাচ্যের এই দুঃসময়ে ফিলিস্তিনি নাগরিকদের দুঃখের ভাগীদার। তাঁর কথায়, ফিলিস্তিনের মাটি ত্যাগ, কুরবানী ও শহিদদের রক্তে রঞ্জিত।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct