সাদ্দাম হোসেন মিদ্দে, ভাঙড়, আপনজন: তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিংবা সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায় ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক হলে আমার ভালো লাগত বলে মন্তব্য করেছেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। জেল মুক্তির পর রবিবার প্রথম নিজ বিধানসভার মাটিতে পা রাখেন বিধায়ক। সওকাত মোল্লাকে ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক নিযুক্ত বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে আইএসএফ চেয়ারম্যান এই মন্তব্য করেন। এদিন নওশাদ সিদ্দিকী নিউটাউনের বিশ্ব বাংলা গেট হয়ে ভাঙড়ের হাতিশালায় দিয়েই নিজ বিধানসভা এলাকায় প্রবেশ করেন। তাঁকে ঘিরে আবেগ, উচ্ছ্বাসে মাতেন দলের কর্মী সমর্থকরা। পুষ্প বৃষ্টিতে ভেসে যান বিধায়ক। এদিন তিনি ব্যাওতা ২, ভগবানপুর, চালতাবেড়িয়া ও শানপুকুর অঞ্চলের বিভিন্ন গ্রাম পরিক্রমা করেন। এদিন কার্যত মহামিছিলে পরিণত হয় পথ পরিক্রমা। শেষে বিধায়ক নওশাদ মাঝেরহাট গ্রামে পৌঁছান। সেখানে তিনি কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশ্য জ্বালাময়ী বক্তব্য রাখেন। ভাঙড়ে তৃণমূলের পর্যবেক্ষক নিযুক্ত হওয়া নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এদিন নওশাদ বলেন, “সওকাত মোল্লা কেন? তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিংবা সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায় ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক হলে আমার ভালো লাগতো। তারা সরাসরি বুঝতেন ভাঙড়ের তৃণমূল নেতাদের দুর্নীতি ও অপরাধ মূলক কার্যকলাপ সম্পর্কে।” তিনি আরও বলেন, সওকাত সাহেব দায়িত্ব পেয়ে যদি ভাঙড়ের নাম বদনাম করার চেষ্টা করেন, ভাঙড়কে উত্তপ্ত করার চেষ্টা করেন তাহলে ভাঙড়বাসী ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন। তবে কে দায়িত্ব থেকে অব্যহতি পেলেন, আর কে দায়িত্ব পেলেন তা নিয়ে আমি ভাবিত নই। নওশাদ সিদ্দিকীর প্রতিক্রিয়া বা ভাঙড়ে পা রাখা সম্পর্কে আপনজন প্রতিনিধির পক্ষে তৃণমূল নেতৃত্বের কোনো প্রতিক্রিয়া নেওয়া সম্ভব হয়নি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct