আপনজন ডেস্ক: অবশেষে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে পিছু হটতে শুরু করেছে ইসরায়েল। এরই মধ্যে দক্ষিণ গাজা থেকে নিজেদের স্থল বাহিনী সরিয়ে নিয়েছে তারা। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বরাতে রোববার বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, ফিলিস্তিনি উপত্যকাটির অন্য অঞ্চলগুলোতে তাদের ‘উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সেনা’ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাবে। এদিকে সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানায়, খুব শিগগির কায়রোয় শুরু হতে চলেছে যুদ্ধবিরতির নতুন আলোচনা। এই আলোচনায় অংশ নেবেন ইসরায়েলি গোয়েন্দা বাহিনী মোসাদ ও শিন বেটের প্রধানরা।
আলোচনায় মধ্যস্থতার জন্য এরই মধ্যে মিশরীয় রাজধানীতে পৌঁছেছেন মার্কিন তদন্ত সংস্থা সিআইএ’র পরিচালক উইলিয়াম বার্ন এবং কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান বিন জসিম আল থানি। এ অবস্থায় মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেছিলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। সেখানে তিনি বলেছেন, জিম্মিদের মুক্তি ছাড়া কোনো যুদ্ধবিরতি হবে না। তবে যুদ্ধবিরতির জন্য যে ইসরায়েলের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে, সেটিও স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। নেতানিয়াহু বলেছেন, আন্তর্জাতিক চাপ ইসরায়েলের ওপর নয়, হামাসের ওপর যাওয়া উচিত। এর আগে, শনিবারও রাতভর গাজার খান ইউনিস শহরে ব্যাপক বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। ইসরায়েলি বাহিনীর উদ্ধৃতি দিয়ে এএফপি জানিয়েছে, হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের শহর খান ইউনিসকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে দক্ষিণ গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এএফপিকে জানিয়েছে, তাদের ৯৮তম কমান্ডো ডিভিশন খান ইউনিসের মিশন শেষ করেছে। ভবিষ্যৎ অভিযানের জন্য প্রস্তুত হতে ডিভিশনটি এরই মধ্যে গাজা উপত্যকা ত্যাগ করেছে।
ইসরায়েলের এক সেনা কর্মকর্তা হারেৎজ পত্রিকাকে বলেছেন, সৈন্যরা হামাসের খান ইউনিস ব্রিগেড গুঁড়িয়ে দেওয়া এবং এর হাজার হাজার সদস্যকে হত্যার পর সৈন্য প্রত্যাহার করে নিয়েছে ইসরায়েল। তার কথায়, আমরা সেখানে যা যা করতে পারতাম, তা করেছি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct