আপনজন ডেস্ক: ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান সংঘাতের কারণে কিছুদিন বন্ধ থাকার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে করা দুর্নীতির মামলার বিচারকাজ আবার শুরু হয়েছে। সোমবার (১২ ডিসেম্বর) জেরুজালেমের একটি আদালতে এ বিচারকাজ শুরু হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৯ সালে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে প্রতারণা, ঘুষ লেনদেন ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে তিনটি মামলা হয়। মামলাগুলো কেস–১০০০, কেস–২০০০ ও কেস–৪০০০ নামে পরিচিত। দীর্ঘদিন ধরে এর বিচারকাজ চলছিল। তবে গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের হামলার পর বিচারের কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন দেশটির বিচারবিষয়ক মন্ত্রী।কেস–১০০০ মামলায় নেতানিয়াহু ও তার স্ত্রী সারার বিরুদ্ধে মদ, সিগারেটসহ বিভিন্ন ধরনের উপহার নেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়। বলা হয়, রাজনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে হলিউডের প্রখ্যাত প্রযোজক আরনন মিলচ্যান ও অস্ট্রেলিয়ার ধনকুবের জেমস প্যাকারের কাছে থেকে উপহারগুলো নিয়েছিলেন তিনি।
ইসরায়েলের আদালতে ঘুষ আদান–প্রদানের মামলার সত্যতা পাওয়া গেলে নেতানিয়াহুর সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড বা জরিমানা হতে পারে। আর প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের বিষয়টি প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ তিন বছর কারাগারে থাকতে হতে পার তার।ইসরায়েলে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় নেতানিয়াহু। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। নেতানিয়াহুর দাবি, মামলাগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাকে ক্ষমতা থেকে সরাতেই রাজনৈতিক বিরোধী ও গণমাধ্যম এগুলো করছে।২০২০ সালের মে মাসে প্রথম তার বিচার শুরু হয়েছিল এবং প্রতিরক্ষা এবং প্রসিকিউশন বিরোধ এবং করোনা মহামারীর কারণে বারবার বিলম্বিত হয়েছে। সম্প্রতি নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে, তার বিরুদ্ধে ওঠা সকল অভিযোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বিচার ব্যবস্থার পুর্নগঠন করার জন্য পরিকল্পনা করছেন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে নেতানিয়াহু সরকার দেশেটির বিচার বিভাগের সংস্কারের নামে সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা কমানো এবং বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে আরো নিয়ন্ত্রণ দেয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করেন। এরপর গত জুলাই মাসে দেশটির পার্লামেন্ট নেসটে বিচার ব্যবস্থা পুনর্গঠনে নতুন আইন প্রস্তাব করে নেতানিয়াহুর কট্টর ডানপন্থী জোট।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct