আপনজন ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের বরেলি জেলার একটি সরকারি স্কুলে সকালের প্রার্থনায় আল্লামা ইকবালের কবিতা আবৃত্তি করায় প্রধান শিক্ষক এবং একজন শিক্ষক (শিক্ষা মিত্র)-এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। স্কুলে সকারের প্রার্থনার সময় আল্লামা ইকবালের আইকনিক কবিতা “ল্যাব পে আতি হ্যায় দুয়া” আবৃত্তি করছে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরে বিষয়টি নজরে আসে। যদিও স্থানীয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কর্মী সোমপাল সিং রাঠোরের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে ফরিদপুর থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, শিক্ষার্থীদের ধর্মান্তরিত করার জন্য সরকারি স্কুলেিএই “ধর্মীয় প্রার্থনা” আবৃত্তি করা হয়েছিল।
রাজ্যের শিক্ষা বিভাগ স্কুলের অধ্যক্ষ নাহিদ সিদ্দিকিকেও বরখাস্ত করেছে এবং শিক্ষক ওয়াজিরুদ্দিনের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। পুলিশ মামলা দায়ের করলেও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। পুলিশ বলেছে যে তারা এই মামলা দায়ের করেছে কারণ প্রার্থনাটি সরকারি বিদ্যালয়ের প্রতিদিনের প্রার্থনার সময়সূচির অংশ নয় এবং এটি ‘এক ধর্মের সাথে’ সম্পর্কিত। এলাকার একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “প্রার্থনাটি অনুমোদিত তালিকার অংশ ছিল না এবং এটি একটি সম্প্রদায়ের সাথে সম্পর্কিত ছিল। বরেলির বেসিক শিক্ষা আধিকারিক (বিএসএ) বিনয় কুমার জানিয়েছেন. এটি নির্ধারিত প্রার্থনা নয়। তাই স্কুলের প্রিন্সিপাল নাহিদ সিদ্দিকীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। শিক্ষা মিত্রের বিরুদ্ধেও তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে ৬২ বছর বয়সী নাহিদ সিদ্দিকী স্পষ্ট করে বলেছেন, ১২ ডিসেম্বর থেকে ছুটিতে যাওয়ার সময় যখন এই ঘটনা ঘটে তখন তিনি স্কুলে ছিলেন না। তিনি মেডিকেল ছুটিতে আছেন এবং ৩১ শে মার্চ তার অবসরের জন্য অপেক্ষা করছেন। শিক্ষা দফতর জানিয়েছে, প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে অধ্যক্ষকে সাসপেন্ড করা হয়েছে এবং তারা এই বিষয়ে তদন্ত করবে। ১৯০২ সালে বিখ্যাত উর্দু কবি আল্লামা ইকবাল এই কবিতাটি লিখেছিলেন, যিনি বিখ্যাত লাইন “সারে জাহান সে আচ্চা হিন্দুস্তান হামারা” লিখেছিলেন। যদিও “ল্যাব পে আতি হ্যায় দুয়া” কবিতায় বলা হয়,
‘হে প্রভু, আমার জীবন যেন পতঙ্গের মতো হয়/
হে প্রভু, আমি কি জ্ঞানের প্রদীপকে ভালোবাসতে পারি?’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct