সজিবুল ইসলাম, জলঙ্গি: দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরে অবশেষে তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে থেকে নির্দল প্রার্থী সৈয়দ রাফিকা সুলতানার নাম ঘোষণা করলেন সাংবাদিক সম্মেলন করে এদিন জলঙ্গি বিধান সভার দেবীপুর অঞ্চলের শিপাহীর চক একটি বাগানে।
প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার আগে থেকে তৃণমূলে গোষ্ঠী কোন্দল চলছিল এমনকি রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ মিছিল করতে দেখা গিয়েছে।প্রার্থী ঘোষণা হবার পরে কালিগঞ্জ বাজারে প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক কুশপুতুল পুড়িয়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেন জেলা পরিষদের সদস্য থেকে শুরু করে প্রাক্তন ব্লক সভাপতি ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সহ পঞ্চায়েত প্রধান গণেরা।
গত কাল জলঙ্গির ঘোষপাড়া অঞ্চলের প্রার্থীর হয়ে কর্মী সভায় এসে জেলা সভাপতি আবু তাহের খান বলেন যে দলের মধ্যে থেকে দলের বিরুদ্ধে কথা বললে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেয়া হবে।তারি ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই দলের একাংশ থেকে নির্দেলর প্রার্থী ঘোষণা করলেন এদিন।
এদিন জেলা পরিষদের সদস্য ইকবাল আহমেদ বলেন যে আমরা প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পরেও বসে ছিলাম যে কবে আমাদের বিক্ষিপ্ত তৃণমূল কর্মী সমর্থক দের কে ডাকবেন, গত কাল জেলা সভাপতির উপস্থিতে কর্মী সভা করেন তাও আমাদের কে জানানো হয়নি বলেও অভিযোগ করেন।
তৃণমূলের উত্তর জোনের কনভেনর ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য প্রদীপ মন্ডল বলেন যে আমাকে কাগজে শুধু কনভেনর করার হয়েছে। বাস্তবে কোনো মিটিং মিছিল আহ্বান করেন না। তাই জলঙ্গী বাসির যে ক্ষোভ তার জন্য নির্দল প্রার্থী ঘোষণা করতে বাধ্য হলাম। আর আমরা নির্দল প্রার্থীকে জয়ী করে দেখাব, যে আমরা উন্নয়নের পক্ষে আছি ছিলাম থাকব। লকডাউন যেভাবে রাফিকা সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন সেটা বলার অপেক্ষা রাখেনা, তাই তার জয় নিশ্চিত।
প্রার্থী সৈয়দ রাফিকা সুলতানা বলেন, আমি দলের বিরুদ্ধে নয়। কিন্তু বর্তমান প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক কে সাধারণ মানুষ চাইছেন না ,তাই জলঙ্গী বাসির কথা শুনে আমি প্রার্থী হলাম।
আমার প্রার্থী হওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই, সাধারণ মানুষের মুখে আমার নাম সোনার পরে আমাদের মধ্যে থেকে আমার নাম ঘোষণা করেছেন।আমি সাধারণ মানুষের হয়ে কাজ করবো, আর জলঙ্গী বাসী কাকে চাই সেটা ২ রা মে প্রমান হয়ে যাবে।
এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক বলেন যে দলের পতাকা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দলের মধ্যে থেকে দলের ক্ষতি করছিলেন ,আর নির্দল প্রার্থী ঘোষণা করবেন বলে আমরা শুনতে পেতাম এবার আজ সেটা সত্যি করলেন।আমি একাধিক বার তাদের কে বললেও তারা আমাদের কোনো প্রোগ্রামে আসেন নী।আর তাদের চলে যাবার পরে দলের কোনো ক্ষতি হবে না বরঞ্চ দল শুদ্ধ হলো আজ ,তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আরো বলেন যে তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদর্শ যাবেনা ,রাজনীতি দূরের কথা।দল এবার আরো ভালো ভাবে চলবে বলে আশাবাদী।মমতার মনোনীত প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক বলেন যে আমি জনগণের মাধ্যমে জয়ী হবো ,আর সেটা ২ রা মে তার প্রমান হবে।
পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শুক্লা সরকার বলেন যে আমার শুনে হাসি পাচ্ছে যে পঞ্চায়েত সমিতির নাকি ১৮ জন সদস্য আছে তাদের সঙ্গে কিন্তু বাস্তবে মাত্র দুই জন তাদের সঙ্গে আজ ছিল। তিনি আরো বলেন যে আমাদের কোনো সমস্যা হবে না প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক কে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করে বিধান সভায় পাঠাবে জলঙ্গী বাসী। এখন দেখার যে জেলা ও রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব কতটা দলের গোষ্ঠী কোন্দল সামলাতে পারেন।
এদিন উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সদস্য ইকবাল আহমেদ,পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মিলন আহেমদ, নূর সেলিম ইসলাম বাবু, সহ জেলা কমিটির অনেক সদস্য ও বিক্ষিপ্ত তৃণমূল কর্মী সমর্থক ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct