আপনজন ডেস্ক: একের পর এক সাম্প্রদায়িক আক্রমণ বেড়ে চলেছে যোগী আদিত্যনাথের রাজ্য উত্তরপ্রদেশে। এবার ফের ‘জয় শ্রীরাম’ না বলায় হামলার শিকার হলেন আবদুল সামাদ নামের এক বৃদ্ধ। ঘটনাটি ঘটেছে ৫ জুন উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের লোনি এলাকায়, যেটি বৃহত্তর দিল্লির মধ্যে পড়ে। এক ভিডিওতে দেখা যায়, আবদুস সামাদকে জোর করে ‘জয় শ্রীরাম’ ও ‘বন্দে মাতরম’ বলানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি তা না করায় তাকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারা হচ্ছে। এছাড়া, ছুরি দিয়ে তার দাড়ি কাটা হয়েছে বলে অভিযোগ।
এ সম্পর্কে এনডিটিভি-র ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, আবদুস সামাদ কাফি নামে এক বৃদ্ধ নামাজ শেষে ঘরে ফিরছিলেন। তাকে অটো রিকশা থেকে এক দল ব্যক্তি জোর করে ছিনিয়ে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। এরপর মাধরর করা হয় এই মুসলিম বৃদ্ধকে। পরে ‘জয় শ্রীরাম’ ও ‘বন্দে মাতরম’ বলতে বাধ্য করা হলে তিনি অস্বীকার করেন। তখন তাকে লাঠি দিয়ে মারা হয়। পাকিস্তানি গুপ্তচর বলাও হয়। যদিও সেসময় তিনি জোড় হাত করে তাদের কাছে কাতর প্রার্থনা করেন রেহাই দেওয়ার জন্য। কিন্তু জনা পাঁচেক যুবক তাকে রেহাই দেয়নি বলে অভিযোগ।
এ ব্যাপারে পরে আবদুস সামাদ নিজেই এনডিটিভিকে বলেছেন, তিনি অটো রিকশা নিয়ে আর যাত্রী তোলার জন্য বলতে থাকলে দুজন অটোতে উঠে পড়ে। এর পর অটো থামাতে বলে। অটো থামানোর পর তারা একটি ঘরের মধ্যে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গিয়ে আটক করে। তারপর ‘জয় শ্রীরাম’ ও ‘বন্দে মাতরম’ বলতে বাধ্য করে। এমনকি মোবাইলও কেড়ে নেয়। শুধু তাই নয়, তারা ছুরি দিয়ে দাড়িও কেটে নেয়। এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর প্রবেশ গুজ্জর নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে রাজ্য পুলিশ। এ ব্যাপারে লোনির প্রবীণ পুলিশ অফিসার অতুল কুমার সোনকর জানিয়েছেন, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে রাজ্য পুলিশ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct