আপনজন ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারের অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরুদ্ধে ক্রমে ক্রমে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন রাজ্যে। বিহার থেকে নির্গত এই স্ফুলিঙ্গ ইউপি, হরিয়ানা, হিমাচল সহ সাতটি রাজ্যে পৌঁছেছে। দুঃখের বিষয় হল হরিয়ানার রোহতকে এই প্রকল্পের প্রতিবাদে এক ছাত্র আত্মহত্যা করেছে। বৃহস্পতিবার পালওয়ালে উত্তেজিত ছাত্ররা পুলিশের তিনটি গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালায় নির্বাচনী প্রচারে মোদির সমাবেশের প্রতিবাদ করতে যাওয়া যুবকদের থামানো হয়েছে। বিহারে ট্রেন চলাচল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সিপিআরও অনুসারে, বিহারের পূর্ব মধ্য রেলওয়ের অধীনে ৪ টি রেল বিভাগের ৭টি রেল রুট বৃহস্পতিবার ব্যাহত হয়েছে।
হরিয়ানার পালওয়ালে পুলিশ নিয়ন্ত্রণ বিক্ষোভকারীদের কবল থেকে মুক্ত করে জাতীয় সড়ক-১৯। এ জন্য পুলিশকে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়তে হয়। এমনক শূন্যে গুলিও করতে হয়। বিক্ষুব্ধ যুবকরা এর আগে এখানে পুলিশের ৫টি গাড়িতে আগুন লাগায়। ডিসির বাসভবনে পাথর ছোড়া হয়। প্রায় চার ঘণ্টা জাতীয় সড়ক জ্যাম ছিল। অন্যদিকে, রোহতকের পিজি হোস্টেলের ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করলেন দুই বছর ধরে সেনা নিয়োগের প্রস্তুতি নেওয়া এক যুবক। ওই যুবকের নাম শচীন। তিনি জিন্দ জেলার লিজওয়ানা গ্রামের বাসিন্দা। সেনা নিয়োগের নতুন নীতি অগ্নিপথ চালু করায় ক্ষুব্ধ। পরিবার জানিয়েছে যে সেনা নিয়োগ বাতিল এবং চার বছরের স্কিম সহ অগ্নিপথ প্রকল্পে দুঃখ পেয়ে শচীন এই পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার জেহানাবাদ, বক্সার ও নওয়াদায় ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ছাপড়া ও মুঙ্গেরে সড়কে অগ্নিসংযোগের পর তুমুল বিক্ষোভ। এসব মানুষ বলছেন, সরকারের উচিত সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct