আপনজন ডেস্ক: বিহারের মধুবনী জেলায় এক ইমামকে পুলিশি হেফাজতে মারধরের অভিযোগে পাঁচ পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। মধুবনীর পুলিশ সুপার যোগেন্দ্র কুমার জানিয়েছেন, বেনিপট্টি থানার এসএইচও, একজন হাবিলদার, একজন কনস্টেবল ও দুই চৌকিদারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপারের দাবি, অভিযোগকারী ইমাম মহম্মদ ফিরোজের অভিযোগ, ২৯ জানুয়ারি তাকে মারধর করে পুলিশ। পুলিশ সুপার দাবি করেন, মোটরসাইকেলের কাগজপত্র দেখাতে বললে দ্রুত পালানোর চেষ্টা করায় তাকে আটক করে থানায় রাখা হয়। তবে কোনো শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেনি। তা সত্ত্বেও পুলিশ সদস্যদের গাফিলতি ধরা পড়েছে, যার জন্য বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, দু’চাকার গাড়ি পিছলে যাওয়ার পর ফিরোজ সামান্য আহত হন।
পুলিশ সুপার বলেন, ওকে ধরার সময় পুলিশের বলপ্রয়োগের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
পরিবারের সদস্যরা কাগজপত্র নিয়ে থানায় আসার পর ছেড়ে দেওয়া ফিরোজ সাংবাদিকদের কাছে তার কষ্টের বর্ণনা দিয়েছিলেন, যার একটি ভিডিও ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে অশ্রুসিক্ত ইমাম ফিরোজ বলেন, ‘তারা আমার চুল ও দাড়ি ধরে টানাটানি করছিল। আমার উপর চড় থাপ্পড় মারা হয়। আর লাঠি দিয়ে এত মারছিল যে সেটি ভেঙে যায়। তারা আমাকে জিজ্ঞেস করে আমি চোর কিনা। আমি বলি, না স্যার, আমি স্থানীয় মসজিদে ইমামতি করার চাকরি করি। তখন পুলিশ অফিসার তারা পাল্টা জবাব দেন, তাহলে আপনি আল্লাহর কাছে দোয়া করবেন? এখন একমাত্র তিনিই আপনাকে বাঁচাতে পারেন।’
অভিযোগ ডিএসপি ফিরোজকে বলেন, ‘মৌলবিগিরি’ আজ শেষ হবে। ফিরোজ বলেন, ২৫ হাজার টাকা না দেওয়া পর্যন্ত আমাকে ছেড়ে দেওয়া হয়নি। আমার ভয় লাগছে। আমি ভাবছি যে আমি কোন ধরণের দেশে বাস করছি। তবে এসপির দাবি, পিআর বন্ডে ফিরোজকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এই পরিস্থিতিতে ফিরোজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে পারেনি পুলিশকর্মীরা। পুলিশ সুপার বলেন, বেনিপট্টি থানার দায়িত্ব পাওয়া এক শিক্ষানবিশ আইপিএসকেও বদলি করা হয়েছে। এদিকে, আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব বলেন, এই ঘটনাটি যে রাজ্যে ঘটেছে য়েখানে বিজেপি ও নীতীশ কুমার জোটের সরকার, যারা মুসলমানদের প্রতি বিদ্বেষ ছড়ায়।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct