আপনজন ডেস্ক: মায়ানমার সেনাদের গ্রেফতার উপেক্ষা করে মানুষ বিক্ষোভের মাত্রা বাড়িয়ে দিল মায়ানমারে। রবিবার নবম দিনের মতো বিক্ষোভকারীরা সেনা শাসকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়। দেশটির অনেক ট্রেন স্টেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এদিকে মায়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদ হয়েছে জাপানেও।

পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে তুলতে যদিও মরণপ্রাণ চেষ্টা চালিযে যাচ্ছে সামরিক সরকার। কিন্তু তারপরও তাদের সবাইকে কাজে যোগ দেওয়ানো সম্ভব হচ্ছে না। বিদ্যুেকন্দ্রগুলোতে সেনা মোতায়েন করা হলেও তারা সেখানে প্রতিবাদের মুখে পড়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় বাণিজ্যিক রাজধানী ইয়াঙ্গুনে সেনাবাহিনী ট্যাংক মোতায়েন করে। গত পহেলা ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের পর এই প্রথম এই ধরনের সশস্ত্র যান মোতায়েন করা হলো। অং সান সু চির মুক্তির দাবিতে প্রথমে চিকিত্সকরা প্রতিবাদ শুরু করেন। কিন্তু এখন সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়েছে। সেনাবাহিনী সরকারি চাকরিজীবীদের নানা ধরনের হুমকি দিচ্ছে। তাদের কাজে ফেরার আহ্বান জানিয়েছে। রাতে গণহারে গ্রেফতারও করা হচ্ছে। শনিবার সরকার সেনাবাহিনীকে আটক এবং ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে তল্লাশি চালানোর ক্ষমতা দিয়েছে। গতকাল ইয়াঙ্গুনে ট্রেন সার্ভিস বন্ধ করে দেয় কর্মচারীরা। সেখানে তাদের দমনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। কিন্তু বিক্ষোভের মুখে পুলিশ সেখান থেকে চলে যেতে বাধ্য হয়। উত্তরের কাচিন প্রদেশে বিদ্যুেকন্দ্রে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। সেখানেও প্রতিরোধের মুখে পড়ে সেনাবাহিনী।

স্থানীয় এক নেতা জানিয়েছে, সেনাবাহিনী বিদ্যুত্ কেন্দ্রগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করছে। এর মাধ্যমে রাতে ব্যাবসায়িক কার্যক্রম চালানোর সময় গ্রেফতার করতে পারে। ইয়াঙ্গুনে বিভিন্ন বিদ্যুত্ বিভাগের কর্মকর্তারা ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন, সেনাবাহিনী তাদের বিদ্যুত্ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য চাপ প্রয়োগ করছে। কিন্তু তারা সেটি করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তারা বরং বিক্ষোভকারীদের পক্ষেই অবস্থান নিয়েছে। সরকার এবং সেনাবাহিনী কেউই এ বিষয়ে মন্তব্য করেনি। এদিকে জাপানের রাজধানী টোকিওতেও বিক্ষোভ করেছে অং সান সু চির সমর্থকরা। ৪ হাজারের বেশি বিক্ষোভকারী এতে অংশ নেয়।

প্লাবিত ডেবরার দশটি মৌজা পরিদর্শনে জয়েন্ট বিডিও

সুজাপুর ইমদাদুল উলুম সিনিয়র মাদ্রাসার হীরক জয়ন্তী বর্ষ উদযাপন

পাচারের আগে উদ্ধার নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ