আপনজন ডেস্ক: বার্ধক্য আমাদের জীবনের অংশ। যৌবনে আমরা অবশ্য এই বিষয়ে বড় একটা ভাবি না। আর তাই জীবনের শেষ সময়টার জন্যে তেমন কোনো প্রস্তুতি রাখি না। ফলে অসংখ্য মানুষের বার্ধক্য কেটে যায় আফসোস আর অনুশোচনায়। তখন অনেকে ভাবেন যৌবনে এটা করতে ভালো হতো। আর এভাবেই বাকি দিনগুলি কেটে যায়। আজ একটু সচেতন হলে, কিছু অভ্যাস পরিবর্তন করলে এইসব আফসোস আর বার্ধক্যে থাকবে না। এখন প্রশ্ন, যৌবনের কোন ভুলগুলি শুধরে নিলে বার্ধক্যে আর আফসোস হবে না। সেই তালিকায় সবার ওপরে থাকছে প্রিয়জনের মনে কষ্ট দেওয়া, কষ্ট দিয়ে তাদেরকে দূরে ঠেলে দেওয়া। এছাড়া আছে ঘুরতে যাওয়ার সুযোগ পেয়েও ঘুরতে না যাওয়া। সঠিক সময়ে স্বাস্থ্য সচেতন না হওয়া। ত্বকের যত্নে, চেহারার যত্নে মনযোগী না হওয়া। দাঁতকে গুরুত্ব না দেওয়া, নিয়মিত দাঁতের যত্ন না করা। পর্যাপ্ত পরিমাণে ব্যায়াম না করা, যা দেহমনের জন্যে অত্যন্ত জরুরি। নিজের কর্মক্ষমতার চাইতেও অনেক বেশি পরিশ্রম করা। এমন পরিশ্রম যাতে জীবনীশক্তি ক্ষয় হয়ে যায় এবং যে পরিশ্রম থেকে কোনো ফলাফল মেলে না। দীর্ঘদিন মনের মাঝে ঘৃণা পুষে রাখা। আলস্যে জীবন পার করে দেওয়া, কোনো অর্জনের চেষ্টা না করা। পরিবারকে যথেষ্ট সময় না দেওয়া, তাদেরকে অবহেলা করা। টাকা খরচে ভয় পাওয়া, সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও জীবন কৃপণের মতো কাটিয়ে দেওয়া। জীবনসঙ্গীর সঙ্গে মধুর সম্পর্ক গড়ে তুলতে না পারা, এটা ভুলে যাওয়া যে শেষ জীবনে স্বামী বা স্ত্রী-ই হবেন সবচাইতে ঘনিষ্ঠ সঙ্গী। সন্তানদেরকে পর্যাপ্ত সময় না দেওয়া। তাদের সুশিক্ষা না দেওয়া। তাদেরকে যোগ্য মানুষ হিসেবে গড়ে না তোলা। সৎ বন্ধুদের সঙ্গে সম্পর্ক ধরে না রাখা। পরিবর্তনকে ভয় পাওয়া ও এড়িয়ে যাওয়া। ভবিষ্যৎ নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করতে গিয়ে বর্তমানকে উপভোগ না করা। সঞ্চয় না করা। নিজেকে নির্যাতিত হতে দেওয়া। এমন একটি জীবন-যাপন চালিয়ে যাওয়া যেটা আপনি চান না।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct