নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুর, আপনজন: পরিবারে অর্থাভাব। গৃহকর্তার মৃত্যুর পর শেষকৃত্যের জন্য চাঁদা তুলে বেড়াচ্ছিলেন পরিবারের লোকেরা। সেই সময় বাড়িতে হঠাৎ পুলিশের গাড়ি। উর্দিধারীদের দেখে ভয় পেয়ে যান পরিবারের লোকেরা। কিন্তু পরক্ষণেই বুঝতে পারেন খোদ আইসি এসেছে তাদের সাহায্য করার জন্য ।পুলিশের এই মানবিক রূপকে কুর্নিশ জানান সকলে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার হাসপাতাল পাড়ার বাসিন্দা বৃদ্ধ গনেশ দাস (৭০) অসুস্থ অবস্থায় তুলসীহাটা ব্রিজের নিচে চার দিন ধরে পড়ে ছিল।সেই সময় পেট্রোলিং ডিউটিতে থাকা পুলিশকে একাধিকবার জানানো সত্ত্বেও উদ্ধার করেনি বলে অভিযোগ তুলেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অবশেষে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের বিডিও সৌমেন মন্ডলের নির্দেশে অসুস্থ বৃদ্ধ কে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়িতেই মারা যান ওই অসুস্থ বৃদ্ধ। বিপাকে পড়ে তার হতদরিদ্র পরিবার।গণেশের শেষকৃত্যের জন্য অর্থের জোগাড় করতে পারেননি তারা।এলাকায় চাঁদা তুলছিল পরিবারের লোকেরা।এই খবর পেয়ে পাশে দাঁড়ালেন হরিশ্চন্দ্রপুর থানার নবনিযুক্ত আইসি মনোজিৎ সরকার। গণেশ বাবুর শেষকৃত্যের জন্য আর্থিক সহযোগিতা করেন।পুলিশের কাছ থেকে এমন সহযোগিতা পেয়ে আপ্লুত গণেশের পরিবারের লোকেরা।তাঁরা কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর পুলিশ প্রশাসনকে। এক সময় হরিশ্চন্দ্রপুর পুলিসের অবহেলার জন্যই গণেশকে চার দিন ধরে রাস্তায় পড়ে থাকতে হয়েছিল। আজ সেই পুলিশেরই অন্যরূপ দেখে অবাক হরিশ্চন্দ্রপুরের বাসিন্দারা।মৃতের আত্মীয় পঞ্চ দাস বলেন, ‘প্রথমে তো পুলিশকে দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।তারপর দেখলাম যে আইসি আমাদের সাহায্য করলেন।পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন।খুব ভালো লাগলো ওনার এই মানবিকতা।’ আইসি মনোজিৎ সরকারের বক্তব্য, সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকেই আমি জানতে পারি। পরিবারের অবস্থা খুবই খারাপ। যতটা সম্ভব হল এসে পাশে দাঁড়ালাম। শেষকৃত্যের খরচটুকু দেওয়ার চেষ্টা করলাম।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct