আপনজন ডেস্ক: তেলআবিবের প্রতি ওয়াশিংটনের সব ধরনের পৃষ্ঠপোষকতা অব্যাহত থাকবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় সোমবার হোয়াইট হাউজে ইসরাইলি প্রেসিডেন্ট রিউভেন রিভলিনের সঙ্গে এক বৈঠকে বাইডেন ওই প্রতিশ্রুতি দেন।
তিনি বলেন, আমার শাসনামলে ইরান কোনো অবস্থায় পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে পারবে না। ইরান প্রসঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে দুই নেতার। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি নিয়ে বরাবরই কড়া মনোভাব ইসরায়েলের। সেখানে একাধিক হামলা পরিচালনা করেছে তারা। ইরানের মদতপুষ্ট একাধিক জঙ্গি গোষ্ঠীর উপরেও আক্রমণ চালিয়েছে ইসরায়েল। দুই রাষ্ট্রপ্রধানের আলোচনায় উঠে আসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু চুক্তির বিষয়টি। ২০১৮ সালে যে চুক্তি থেকে বেরিয়ে এসেছিল ট্রাম্প প্রশাসন। তার পর থেকেই একের পর এক হুমকি দিতে শুরু করে ইরান।
বৈঠকে বাইডেন বলেন, ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র ফিরতে চায়। তার জন্য আলোচনাও চলছে। কিন্তু ইরান যা করছে, যুক্তরাষ্ট্র তা গ্রহণ করে না। কড়া নজর রাখা হচ্ছে ইরানের ওপর। প্রয়োজনে কঠিনতম পদক্ষেপ নেবে যুক্তরাষ্ট্র।
আমেরিকা, ইহুদিবাদী ইসরাইল ও ইউরোপীয় দেশগুলো বহু বছর ধরে ইরানকে পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করার দায়ে অভিযুক্ত করছে। তেহরান শুরু থেকে কঠোর ভাষায় এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে এসেছে।
ইরান বলছে, তার পরমাণু কর্মসূচি সম্পূর্ণ বেসামরিক লক্ষ্যে পরিচালিত হচ্ছে। ইরানি কর্মকর্তাদের মতে, পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি বা এনপিটিতে স্বাক্ষরকারী এবং আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা বা আইএইএ’র সদস্যদেশ হিসেবে বেসামরিক কাজে পরমাণু কর্মসূচি পরিচালনা করার অধিকার তেহরানের রয়েছে। আইএইএ এখন পর্যন্ত অসংখ্য প্রতিবেদনে একথার সত্যতা নিশ্চিত করেছে যে, ইরান শান্তিপূর্ণ কাজে পরমাণু তৎপরতা চালাচ্ছে এবং পরমাণু অস্ত্র তৈরির কোনো চেষ্টা চালায়নি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct