নাজমুস সাহাদাত, বৈষ্ণবনগর, আপনজন: মালদহের বৈষ্ণবনগর ভগবানপুর গ্রামপঞ্চায়েতের জলরাহি শিশা এলাকায় বিপুল পরিমাণ বোমা উদ্ধার। এলাকার একটি মাঠে বস্তায় প্রায় ১৭ টি কোটা বোমা উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। খবর পেয়ে পৌঁছান বোমা উদ্ধার ঘটনাস্থলে অপরাধ তদন্ত বিভাগের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল ও দমকলের ইঞ্জিন। কঠিন পরিস্থিতির মাধ্যমে অতি যত্ন সহকারে প্রতিটি বোমা নিষ্ক্রিয় করা হয়। কোথা থেকে কিভাবে এবং কারা ওই বোমাগুলি কি উদ্দেশ্যে মজুত করা হয়েছিল তার তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার বাড়ির পাশে মাঠে খেলতে বল ভেবে মাঠিতে ছুড়ে বোমা বিস্ফোরণ। মাঠে পড়ে থাকা এক প্লাস্টিক বল তুলে খেলতে গিয়েই ঘটে যায় দুর্ঘটনা। আর এতে গুরুতর জখম হয়ে যায় খেলতে যাওয়া পাঁচজন শিশু। ওই এলাকার ছয়জন শিশু একসাথে খেলতে গিয়েছিল এবং তার মধ্যে থাকা একজন প্লাস্টিক বল ভেবে মারতে গিয়ে ঘটে যায় বিস্ফোরণ। স্থানীয় সূত্রে, বীরনগরের দিলুটোলা এলাকায় একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে বোমা মজুত রাখা বোমা কোনোভাবে বাইরে পেয়ে যায় শিশুরা তাতেই বিপত্তি। বোমা বিস্ফোরণে পাঁচজন শিশুর মধ্যে দুজন শিশুর অবস্থা গুরুত্ব জখম। যাদের আনুমানিক বয়স প্রায় সাত থেকে আট বছরের মধ্যে। আজকে আবারও বৈষ্ণবনগর এলাকার বোমা উদ্ধার ঘটনার জেরে অস্বস্তিতে এলাকাবাসী।
ধুলিয়ান-সামসেরগঞ্জের ঘটনায় এলাকা ছেড়ে আশ্রিত হয়েছেন বৈষ্ণবনগরের পারলালপুর হাই স্কুলে। আর পরপর একই এলাকায় বোমা উদ্ধার ও বিস্ফোরণের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। অন্যদিকে আজকে বৈষ্ণবনগরের পারলালপুরে আশ্রয় শিবির থেকে ২১ জনকে ঘরে ফেরালো প্রশাসন। ধাপে ধাপে আশ্রয় শিবির থেকে ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরানোর ব্যবস্থা চালাচ্ছে প্রশাসন।
তাদের ঘরে ফেরার জন্যে গাড়ি, খাবার ও ত্রানের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। এছাড়াও শিবিরে থাকা মানুষজনের অনেকেই ঘরে ফেরার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। ঘরে ফিরলেই তাদের ক্ষয়ক্ষতির সমীক্ষা করবেন বলে জানিয়েছেন প্রশাসন। ধুলিয়ান সহ সমস্ত এলাকার পরিস্থিতি এখন প্রায় স্বাভাবিক দাবি প্রশাসনের। এব্যাপারে মালদহ সদর মহকুমা শাসক পঙ্কজ তামাং জানান, প্রথমে আশ্রয় শিবিরে ছিলেন প্রায় সাড়ে তিনশত মানুষজন। পরপর অনেকেই ঘরে ফিরে গিয়েছেন এবং আজকে তাদের সদিচ্ছাই একুশজনকে ঘরে ফেরানো হল এবং এখনও শিবিরে আছেন প্রায় দুইশত জন। যাদের ফেরানো হচ্ছে তাদেরকে চাল, ডাল, বিস্কিট, বাচ্চাদের খাবার সহ তাদের স্বাস্থ্য পরিক্ষা ও পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়। তারা নিজের ইচ্ছাতেই খুশি হয়ে ঘরে ফিরতে আগ্রহী। যারা যাবেন তাদের জন্যে আমরা সমস্ত রকমের ত্রানের ব্যবস্থা করেছি। তারা খুশি হয়ে ঘরে ফিরতে চাইছেন এটাই সবথেকে ভালো জিনিস। আমরাও চাইছি তারা ঘরে ফিরে পুনরায় ভালোভাবে জীবনযাপন শুরু করুক।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct