আপনজন ডেস্ক: করোনা একেক জনের শরীরে ভিন্ন ভিন্ন উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। এ সময় সামান্য অসতর্ক বা ভুলেই আক্রান্ত হতে পারেন ওমিক্রন। ঘর থেকে বের হলে এখন মুখোশ পরা বাধ্যতামূলক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সঠিকভাবে মাস্ক পরলে সংক্রমণের ঝুঁকি ৯০ শতাংশ কমে যায়। বাজারে যদিও এখন বিভিন্ন ধরনের মুখোশ পাওয়া যায়। তবে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী সবচেয়ে কার্যকরী হলো এন-৯৫ মাস্ক। গবেষণার তথ্য মতে, কাপড় বা সার্জিক্যাল মাস্কের চেয়ে এন-৯৫ মাস্ক করোনা সংক্রমণ এড়াতে বেশি কার্যকরী। প্রায় ৯৫ শতাংশ কণা আটকে রাখতে পারে এই মাস্ক। ফলে ফুসফুসে ড্রপলেটের সূক্ষ্ম কণাও পৌঁছাতে পারে না। এন-৯৫ মাস্কের সবচেয়ে ভালো দিক হলো, এটি পুনঃব্যবহারযোগ্য ও সহজলভ্য। তবে একটি কতবার ব্যবহার করা যায় একটি এন-৯৫ মাস্ক? তা হয়তো অনেকেরই অজানা। যদিও সাধারণ সার্জিক্যাল মাস্কের চেয়ে এন-৯৫ মাস্কের দাম বেশি। চাইলে একটি এন-৯৫ মাস্ক ধুয়ে আবারও ব্যবহার করতে পারেন। তবে দীর্ঘদিন নয়। আসলে কতবার এন-৯৫ মাস্ক ব্যবহার করবেন তা নির্ভর করে মাস্কের গুণগত মান ও সেটি কীভাবে ব্যবহার করছেন তার উপরে। প্রতিটি এন-৯৫ মাস্কে থাকে সিল। যখন একটি মাস্কই বারবার ব্যবহার করা হয় তখন তা ধোয়ার কারণে সিলটি ভেঙে যায়। যখনই ওই সিল বেরিয়ে আসবে বা ভেঙে যাবে তখনই ওই মাস্ক আর পরবেন না। তখন বাতাস কোনো কিছু ফিল্টার না করেই সহজেই ভেতরে ও বাইরে যেতে পারে।মাস্কটি ধোয়ার পরও সিল না সরে কিংবা ফিতা ঢিলা না হয় ও মুখে একেবারে ফিটিং হয়, তাহলে সেটি দীর্ঘদিন পরতে পারবেন। এক সমীক্ষা অনুসারে, আপনি সহজেই ২৫ বার এন-৯৫ মাস্ক পরতে পারেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct