আপনজন ডেস্ক: অন্দরসাজে জমকালো, ভারী নয়, বরং হালকা ছিমছাম আসবাবের ব্যবহার জনপ্রিয় হচ্ছে এখন। শুধু নকশাই নয়, এই পরিবর্তন আসছে আসবাবের উচ্চতাতেও। অনেকেই এখন ঘর সাজাতে বেছে নিচ্ছেন লো হাইট বা নিচু আসবাব।
এই ধরনের আসবাবের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, ঘরকে বড় আর খোলামেলা দেখাতে সাহায্য করে। আজকাল অনেক আসবাব প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান বানাচ্ছে এমন নিচু আসবাব। আবার অনেকেই ফরমাশ দিয়ে বানাচ্ছেন এ ধরনের আসবাব। তবে যেভাবেই বানান না কেন, আসবাবের গায়ে কোনো নকশা না থাকাই ভালো।
এখন আসবাবে চলছে নানা রঙের ব্যবহার।লোহাইট বা নিচু আসবাবেও থাকতে পারে এমন রঙের ব্যবহার।তবে তা যেন আসবাব ও দেয়ালের রঙর সঙ্গে সামঞ্জস্য পূর্ণ হয়, সেদিকেও রাখতে হবে বিশেষ খেয়াল।বিশেষজ্ঞদের মতামত হলো, এই যে নিচু আসবাব, লেকার পলিশ হলেই তা বেশি ভালো দেখায়।
সাধারণত বসার ঘরে নিচু আসবাব ব্যবহার করতে বেশি দেখা যায়। অনেকেই আবার শোবার ঘরেও লো হাইট খাট ব্যবহার করে থাকেন। আজকাল অনেক আসবাব প্রতিষ্ঠানই আনছে কম উচ্চতার খাবার টেবিল। তবে অন্দর সজ্জাবিদদের পরামর্শ হলো, সব ঘরে একসঙ্গে নিচু আসবাবের ব্যবস্থা না রাখাই ভালো। এর পরিবর্তে যেকোনো একটি ঘর বেছে নেওয়া যেতে পারে।
যদিও বলা হচ্ছে নিচু আসবাব, সেগুলোরও আবার বিভিন্ন আকৃতির থাকে। যেমন কখনো মেঝের সঙ্গে লাগোয়া থাকে, আবার কখনো এর উচ্চতা মেঝে থেকে কিছুটা উঁচুতে হয়। আসবাবের উচ্চতা কেমন হবে, তা নির্ভর করবে আপনার বাসার আয়তনের ওপর। যদি ঘরগুলো একটু বড় হয়ে থাকে, তবে একটু উঁচু আসবাব বেছে নেওয়া ভালো। আবার ঘর যদি ছোট হয়, তবে মেঝে লাগোয়া আসবাবই ভালো দেখাবে।
লো হাইট আসবাব ব্যবহারের সময় ঘরের আলোকসজ্জার দিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। সাধারণত ল্যাম্পশেডের ব্যবহার এই ধরনের অন্দরসজ্জার সঙ্গে বেশি মানায়। এখানেও সেই একই কথা। মেঝে লাগোয়া আসবাবের সঙ্গে ফ্লোর ল্যাম্পশেডই ভালো দেখাবে। আবার আসবাব একটু উঁচু হলে টেবিলের ওপরে আলোকসজ্জার আয়োজন করতে পারেন। এই ধরনের অন্দরসজ্জায় গাছ খুব মানানসই। রাখতে পারেন বই রাখার ছোট ছোট তাকও। ঘরে নিচু আসবাব ব্যবহার করতে চাইলে ঘরে খুব বেশি আসবাবের আয়োজন না রাখাই ভালো।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct