আপনজন ডেস্ক: কর্নাটকের বিদারের একটি মসজিদে জোর করে ঢুকে পূজা অর্চনা করা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। সংবাদ সংস্থা আইএনএস সুত্র জানিয়েছে, বিদারের ঐতিহাসিক মাহমুদ গাওয়ান মসজিদ ও মাদ্রাসায় উগ্র হিন্দুত্ববাদী কর্মীরা প্রবেশ করে পূজা অর্চনা করার পর মুসলিম সংগঠনগুলি শুক্রবার বিক্ষোভের হুঁশিয়ারি দেওয়ায় কর্নাটক পুলিশ হাই অ্যালার্ট জারি করেছে। যদিও মসজিদে ঢুকে পূজা করার ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার। এই ঘটনার ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ায় তা ভাইরাল হয়। পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার রাতে বিদারের দশেরার শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া একদল হিন্দু কর্মী মাহমুদ গাওয়ান মসজিদ ও মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে এবং পূজা-অর্চনা করে।হেরিটেজ বিল্ডিং হিসাবে বিবেচিত, মসজিদ ও মাদ্রাসাটি আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া দ্বারা পরিচালিত হয়। ১৪৬০ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত মাদ্রাসাটিকে ভারতের অন্যতম প্রাচীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, হিন্দু কর্মীরা সেখানে নিয়োজিত রক্ষীদের সরিয়ে তালা ভেঙে সৌধের ভিতরে প্রবেশ করেছিল। তারা “জয় শ্রী রাম” এবং “জয় হিন্দু রাষ্ট্র” স্লোগান তোলে এবং ভবনের এক কোণে হিন্দু রীতি অনুযায়ী উপাসনা পরিচালনা করে। ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায়, একটি বড় দল স্মৃতিসৌধের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে আছে। এই ঘটনায় ৯টি মামলা দায়ের করে ৩ জনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। বিদারের মুসলিম সংগঠনগুলি এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে। তারা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে এবং শুক্রবারের নামাজের পরে একটি বিশাল বিক্ষোভের হুঁশিয়ারি দিয়েছে।এআইএমআইএম নেতা আসাদউদ্দিন ওয়াইসিও এই ঘটনার নিন্দা করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, “চরমপন্থীরা গেটের তালা ভেঙে ঐতিহাসিক মাহমুদ গাওয়ান মসজিদ ও মসজিদকে অপবিত্র করার চেষ্টা করেছে। তিনি এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই ও বিদার পুলিশকে উদ্দেশ্য করে বলেন, কীভাবে হেরিটেজ সৌধে এই ধরনের ঘটনা ঘটতে দেওয়া হল?
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct