আপনজন ডেস্ক: সারা রাজ্যে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। তাপমাত্রা ক্রমেই বাড়ছে। এতে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এদিকে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা তীব্র গরমে ঘর থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এরপরও বিশেষ প্রয়োজনে বের হতে হলে ছাতা এবং রোদচশমা সঙ্গে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। বিভিন্ন প্রয়োজনে বাধ্য হয়ে যাদের ঘরের বাইরে বের হতে হচ্ছে, এই তীব্র গরমে তাদের হিটস্ট্রোক হতে পারে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। কেউ হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হলে তার জীবনে অনেক বড় বিপদ ঘটতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তিকে দ্রুত চিকিৎসা না দিলে প্রাণহানির ঝুঁকিও থাকে। চিকিৎসকরা বলছেন, হিটস্ট্রোক হলে সাধারণত একজন মানুষ হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যেতে পারেন। জ্ঞান হারানোর আগে মাথা দপদপ করা, মাথা ঘোরা, মাথা হালকা অনুভব করা, পেশির দুর্বলতা কিংবা পেশির ব্যথার মতো কিছু উপসর্গও দেখা দিতে পারে। তিনি বলেন, হিটস্ট্রোকে আক্রান্তদের কারো কারো হৃৎপিণ্ডের গতি বেড়ে যেতে পারে। এ সময় রোগীর খিঁচুনি, ঘন ঘন শ্বাসপ্রশ্বাস, বমিভাব কিংবা বমি হতে পারে। রোগী দৈবাৎ অসংলগ্ন আচরণও করতে পারেন। কোনো মানুষের মধ্যে এ ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত ছায়া ও হাওয়াযুক্ত জায়গায় নিয়ে বিশ্রামে রাখতে হবে। সবচেয়ে ভালো হয় গলা পর্যন্ত ঠান্ডা জলে ডুবে থাকতে পারলে। তবে অনেক ক্ষেত্রে এরকম সুযোগ পাওয়া যায় না। সেক্ষেত্রে ঠান্ডা জলে রোগীকে স্নান করাতে হবে। এছাড়া রোগীর গায়ে থাকা মোটা বা অতিরিক্ত কাপড় সরিয়ে দেওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন চিকিৎসকরা। এ সময় রোগীর আচরণ অসংলগ্ন হলে, জ্ঞান না থাকলে, খিঁচুনি হলে কিংবা শ্বাসপ্রশ্বাস অস্বাভাবিক হলে এবং রোগী স্বাভাবিক অবস্থায় না ফেরা পর্যন্ত জল খাওয়ানো যাবে না। অতি গরমে শিশু বা বয়স্কদের রুমের বাইরে বের না হওয়া প্রয়োজন। রোজাদারদের বেশি বেশি শরবত, জল ও ঘরে বানানো বিভিন্ন ফলের জুস এবং তরল খাবার খেতে হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct