আপনজন ডেস্ক: তাঁর বাবা ডাগআউটের বিখ্যাত এক নাম, যিনি ১১ বছর ধরে আতলেতিকো মাদ্রিদের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। তবে কোচ হিসেবে ২০১৩-১৪ ও ২০২০-২১ মৌসুমে লিগ শিরোপা জিতলেও দিয়েগো সিমিওনের আক্ষেপ এখন পর্যন্ত চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততে না পারা। ২০১৩-১৪ ও ২০১৪-১৫ মৌসুমে ফাইনালে উঠেও নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে শিরোপার স্বপ্ন ভেঙেছে।
দিয়েগোর আক্ষেপ দূর করার সময় এখনো ফুরিয়ে যায়নি। তবে এর মধ্যেই দারুণ এক গোল করে চ্যাম্পিয়নস লিগ মঞ্চে নিজের স্বপ্ন পূরণ করলেন সিমিওনের ছেলে জিওভান্নি সিমিওনে। লিভারপুলের বিপক্ষে নাপোলির ৪-১ গোলের জয়ে তৃতীয় গোলটি এসেছে জুনিয়র সিমিওনের কাছ থেকেই। তবে চ্যাম্পিয়নস লিগ নিয়ে ছেলে জিওভান্নির স্বপ্নটা বাবার ফাইনালে ওঠারও আগের গল্প। আজ থেকে ১৪ বছর আগের কথা, জিওভান্নির বয়স যখন ১৩ বছর। তখনই চ্যাম্পিয়নস লিগ নিয়ে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন জিওভান্নি। চ্যাম্পিয়নস লিগের লোগোকেই উল্কি হিসেবে বাহুতে আঁকিয়ে নেন। তাঁর এ কাণ্ড ক্ষুব্ধ করেছিল মা–বাবাকেও। তবে জিওভান্নি তাঁদের প্রতিজ্ঞা করে বলেছিলেন, একদিন চ্যাম্পিয়নস লিগ মঞ্চে গোল করার পর তিনি সেই উল্কিতে চুমু খাবেন। দিনটি দেখার জন্য জিওভান্নি আর তাঁর মা–বাবা অপেক্ষা করতে হলো ১৪ বছর। গতকাল রাতে অবশেষে নিজের স্বপ্নপূরণের সঙ্গে প্রতিজ্ঞাও রক্ষা করলেন এই আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার। ৪৪ মিনিটে লিভারপুর রক্ষণকে ফাঁকি দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন জিওভান্নি। এরপর পুরোনো প্রতিজ্ঞা স্মরণ করে চুমু খান উল্কিতে এবং আবেগে ভেসে গিয়ে শুয়ে পড়েন মাঠে। দলের বড় জয়ের সঙ্গে ব্যক্তিগত স্বপ্নপূরণ, চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজের প্রথম গোলের পর থেকেই আবেগে ভাসছেন জিওভান্নি। ম্যাচের পর উচ্ছ্বসিত এই নাপোলি তারকা বলেছেন, ‘আমি সব সময় স্বপ্ন দেখেছি, চ্যাম্পিয়নস লিগে অন্তত একটা মিনিট হলেও যেন খেলতে পারি। আজ (গতকাল) আমি সেই সুযোগ পেয়েছি এবং কাজে লাগিয়েছি। আমি এই উল্কি এঁকেছিলাম। কারণ, আমি এত দূর আসার স্বপ্ন দেখতাম। আমি স্বপ্ন দেখতাম গোল করার এবং বলে চুমু খাওয়ার। এটা রোমাঞ্চকর। এত দূর আসার জন্য আমি অনেক কষ্ট করেছি। আমি এখন এখানে।’ লম্বা সময় দক্ষিণ আমেরিকায় কাটানোর পর ২০১৬ সালে জেনোয়ার হয়ে খেলতে ইতালিতে যান জিওভান্নি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct