আপনজন ডেস্ক: ডক্টরস উইদাউট বোর্ডারস (MSF) শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) জানায় যে, ইসরায়েলি অবরোধের কারণে গাজায় চিকিৎসা সেবার অভাবের মধ্যে পুড়ে যাওয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, এবং তাদের জন্য যথাযথ চিকিৎসা পাওয়ার সুযোগ খুবই কম। গাজা উপত্যকায় গত মার্চ মাসের মাঝামাঝি থেকে ইসরায়েলি হামলা পুনরায় শুরু হওয়ার পর থেকে পুড়ে যাওয়া রোগীর সংখ্যা প্রচুর বেড়েছে, বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে এই সমস্যা বৃদ্ধি পেয়েছে বেশি।
এমএসএফ ( MSF) জানিয়েছে, “ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ গাজায় অবরোধ বজায় রেখে, মৌলিক সাহায্য, চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং জীবনরক্ষাকারী সরবরাহ বাধাগ্রস্ত করছে। এর ফলে অনেক রোগী তীব্র যন্ত্রণার মধ্যে জীবন কাটাচ্ছেন, এবং তাদেরকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা বা কোনো প্রকার সহায়তা দেওয়া হচ্ছে না।” এমএসএফ আরও জানায়, “বোমা বিস্ফোরণ এবং কুকিং মেথডে পুড়ে যাওয়া রোগীদের জন্য চিকিৎসার সুযোগ খুবই সীমিত। গুরুতর পুড়ে যাওয়া রোগীদের জন্য দীর্ঘমেয়াদী এবং জটিল চিকিৎসা প্রয়োজন, যার মধ্যে রয়েছে অস্ত্রোপচার, ক্ষত ব্যান্ডেজ, ফিজিওথেরাপি এবং ব্যথানাশক চিকিৎসা।” এই চিকিৎসা সংকটের পাশাপাশি, এমএসএফ বলেছে, “পুড়ে যাওয়া রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় উচ্চমানের স্বাস্থ্যসেবা ছাড়াও, তাদের সুস্থ হতে প্রতিদিন দ্বিগুণ ক্যালোরির খাবারের প্রয়োজন। কিন্তু গাজায় খাবার প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে, রোগীরা অপ্রতুল খাবারে বেঁচে থাকছে, যা তাদের সুস্থতা ও পুনরুদ্ধারকে বিপন্ন করছে।”
গাজায় মারাত্মক মানবিক সংকটের মধ্যে, গত ২ মার্চ থেকে ইসরায়েল গাজার সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে, যার ফলে খাদ্য, চিকিৎসা সামগ্রী এবং মানবিক সহায়তা প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। গত ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল গাজায় ৫১,৪০০ অধিক ফিলিস্তিনি নাগরিককে হত্যা করেছে, যার মধ্যে বেশিরভাগই নারী এবং শিশু। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু এবং তার সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইউয়াভ গালান্টের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা দায়ের করেছে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct