রাজু আনসারী,অরঙ্গাবাদ,আপনজন: রমজান মাস পড়তেই ফলমুলের বাজারে আগুন। ফলের দাম বাড়ায় মাথায় হাত মধ্যবিত্তের। ফল কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন প্রতিদিন। কালোবাজারির ছোঁয়ায় রমজান মাসের শুরুতেই কার্যত চরম সমস্যায় রোজাদাররা। রোজার আগের মুহূর্তে ফলের দাম কম থাকলেও রোজা পড়তেই তা কার্যত ডবলে পৌঁছে গিয়েছে। বাজারে কালোবাজারির ছোঁয়ায় বেজায় ক্ষুব্ধ রোজাদাররা। ফল ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন বাজারে এসেছে আম ১৩০ টাকা কিলো, খেজুরের দামও চরাও, বেদানা ১৪০ টাকা কিলো, আঙ্গুর ১০০-১২০ টাকা কিলো, কলা ৪০-৫০ টাকা কিলো, আপেল ১৪০-১৫০ টাকা, পাকা পেঁপে ৮০-৯০ টাকা কিলো, তরমুজ ৪০-৫০ টাকা কিলো, শশা ৭০ টাকা কিলো, মৌসুমি ৮০-৯০ টাকা কিলো, কাগচি লেবু ৭-১০ টাকা পিস। ফলের বাজারে এসে কোনটা কিনবেন আর কোনটা কিনবেন না ভেবে কুল পাচ্ছেন না ক্রেতারা।
উল্লেখ্য, রবিবার থেকেই ভারতীয় উপমহাদেশে শুরু হয়ে গিয়েছে পবিত্র মাহে রমজান। ত্যাগ, সংযমের এই পবিত্র রমজান মাস পড়তেই মুসলিমদের ঘরে ঘরে যেন আনন্দের বাতাবরণ সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার রাত থেকে তারাবীহ নামাজ আদায় করেছেন মুসলমান সমাজ। সকালে যথারীতি সেহরি খেয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম রোজা ধরেছিলেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। এই ভাবে ৩০ টা দিন রোজা রাখবেন, সারাদিন না খেয়ে থাকার পর সন্ধ্যায় ইফতারী করবেন তারা। ইফতারের সময় কলা, শসা, আপেল হোক কিংবা খেজুর- কার্যত প্রতিটি ঘরে ঘরেই ফলমূল দিয়ে ইফতার করা হয়। রমজান মাস উপলক্ষে মুসলিম সমাজের মধ্যে আনন্দের বাতাবরণ সৃষ্টি হয়েছে। এক মাস রোজা সম্পন্ন করে ঈদুল ফিতরের মাধ্যমেই আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হবে রমজান মাস ও রোজা পালন। এদিকে রমজান মাস পড়তেই রাতারাতি প্রায় ডবলে পৌঁছে গিয়েছে সমস্ত ফল মূল ও সবজির দাম। কলা, শসা, আপেল কিংবা খেজুর। যাবতীয় ফলমূলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্ষুব্ধ রোজাদাররা। মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর মহুকুমার ফারাক্কা, সামশেরগঞ্জ, সুতি, জঙ্গিপুর বিভিন্ন ফলের বাজারে কার্যত আগুন লাগে। কালোবাজারির বিরুদ্ধে প্রশাসনকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন রোজাদাররা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct