আপনজন ডেস্ক: কংগ্রেস এবার সংগঠন মজবুত করতে মাঠে নামল। মঙ্গলবার জানিয়ে দেওয়া হল, ১ নভেম্বর দেশজুড়ে সদস্য অভিযান শুরু হবে। চলবে ২০২২-এর ৩১ মার্চ পর্যন্ত। আর প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে গণতন্ত্রের পরাধীনতার বিরুদ্ধে আদর্শগত লড়াই চালিয়ে যাবে কংগ্রেস।
দলের সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক, ইন-চার্জ এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিদের একটি বিশেষ বৈঠকের পর কংগ্রেস এই কর্মসূচির কথা জানায়। এই আলোচনা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীও ।
বৈঠক শেষে এক সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন, ২০২১ সালের ১ নভেম্বর থেকে ২০২২ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ব্যাপক সদস্যপদ অভিযান চালানোর জন্য দলের পক্ষ থেকে কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সর্বসম্মতভাবে একমত যে কংগ্রেস দেশের প্রতিটি কোণায়, প্রতিটি ওয়ার্ডে ও গ্রামে পৌঁছে যাবে এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভারতীয়র তাদের আকাঙ্ক্ষার জন্য একটি মঞ্চ সরবরাহ করবে।
ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সদস্য হিসাবে প্রথমবারের ভোটারদের নাম নথিভুক্ত করার উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়।।
সুরজেওয়ালা বলেন, বিজেপি-আরএসএস কেবল কংগ্রেসের আদর্শের উপরই নয়, সংবিধানে বর্ণিত ন্যায়বিচার, সমতা এবং ইতিবাচক পদক্ষেপের মূল মৌলিক বিষয়গুলির উপর যে নিয়মতান্ত্রিক আক্রমণ চালাচ্ছে তার মোকাবিলায় দলটি একটি আদর্শগত প্রশিক্ষণ কর্মসূচিও গ্রহণ করবে।
বৈঠকে অসাংবিধানিক উপায়ে গণতন্ত্রের পরাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় এবং প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ক্ষমতাসীন শ্রেণীর ইচ্ছার কাছে কার্যত বন্দী করে রাখা হয় বলে অভিযোগ তোলা হয়।
সুরজেওয়ালা আরও বলেন, কংগ্রেস প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে “গণতন্ত্রের পরাধীনতার” বিরুদ্ধে “আদর্শগত লড়াই” লড়ার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এছাড়া, ১৪-২৯ নভেম্বর ‘জন জাগরণ অভিযান’ নামে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে কংগ্রেস ব্যাপক আন্দোলন করবে। এটি হবে প্রথম পর্যায় এবং পরবর্তী পর্যায় সম্পর্কে পরে ঘোষণা করা হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct