দেবাশীষ পাল, মালদা, আপনজন: বিদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ছাই বিধবা মা ও দুই ছেলের পাঁচটি ঘর।ভয়াবহ অগ্নিকান্ডটি ঘটেছে আজ সকাল দশটা নাগাদ হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের মালিওর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের সোনাকল গ্রামে।ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বিধবা মা গুলেনুর বেওয়া ও দুই ছেলে ইমদাদুল হক ও বাবর আলি।অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়ে যায় গুলেনুর বেওয়ার জমি বিক্রি করে রাখা ছয় লক্ষ টাকা ও একটি বসত বাড়ি।অপরদিকে দুই ছেলের দুই টি বসত বাড়ি ও দুইটি দোকান।একটি কাপড়ের দোকান ও একটি বাসনালয়ের দোকান।এছাড়া বাড়িতে থাকা আসবাবপত্র,কাপড়চোপড়,সোনা ও রুপর অলঙ্কার,মজুত শস্য,আঁধার কার্ড,ভোটার কার্ড ও জমির দলিল এবং কাপড় সেলাইয়ের দুইটি মেশিন।সব মিলিয়ে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে অনুমান।ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলি সর্বস্ব হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে পলিথিন টাঙিয়ে আশ্রয় নিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,এদিন সকাল দশটা নাগাদ গুলেনুর বেওয়ার বাড়ির টালির ছাউনিতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখেন প্রতিবেশীরা।তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে পুকুর ও নলকুপ থেকে জল তুলে আগুন নেভানোর কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন।দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়।শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে বলে দমকল কর্মীদের প্রাথমিক অনুমান। ঘরপোড়া বাবর আলি বলেন,এই সময় বাড়িতে কোনো পুরুষ মানুষ ছিল না।সকলেই মাঠে কাজ করতে গিয়েছিল।আগুনে মা ও দুই ভাইয়ের মোট পাঁচটি ঘর সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।জমি বিক্রি করে বাড়িতে ছয় লক্ষ টাকা জমিয়ে রেখেছিলেন মা।সেই টাকা ও বাড়িতে থাকা আসবাবপত্র, জামা,কাপড়,বিছানা থেকে শুরু করে ধান,চাল সহ বাড়ির বাক্সে থাকা জমির দলিল,আধার কার্ড, ভোটার কার্ড সমস্ত নথি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।কিছুই অবশিষ্ট নেই বাড়িতে।’আগুনে সর্বস্ব হারিয়ে খোলা আকাশের নীচে ঠাঁই নিয়েছে তিনটি পরিবার। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় মালিওর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রতিকা আক্তারির স্বামী মহম্মদ আলাউদ্দিন ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য আজিজুর রহমান। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সরকারিভাবে সবরকমের সুবিধা পাইয়ে দেয়ার আশ্বাস দেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct